শিশু বারবার অসুস্থ হচ্ছে? প্রতিরোধে করণীয় জানুন
- কবিতা আক্তার
- ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
শীতের ঠান্ডা আবহাওয়া শিশুদের নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষ করে এ সময় নিউমোনিয়া ও সর্দি-কাশির সমস্যা শিশুর ঘন ঘন হয়। এ সময় শীতের প্রকোপ ও বিভিন্ন রোগ থেকে শিশুকে বাঁচাতে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে জেনে নিন করণীয়-
১. শিশুকে ভালো মানের পর্যাপ্ত শীতের পোশাক পড়াতে হবে। বেশিরভাগ শিশুরাই মাথায় টুপি কিংবা গলায় মাফলার রাখতে চায় না। এদিকেও বাবা-মাকে খেয়াল রাখতে হবে। এমন কি শিশুদের যাতে ঠান্ডা লেগে না যায় তার জন্য শীতের তীব্রতা অনুযায়ী পোশাক পড়াতে হবে।
২. বেশিরভাগ মায়েরা শীতে শিশুকে গোসল করাতে ভয় পান। এ ধারণা কিন্তু ঠিক নয়। শীতকালে শিশুকে আরও বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। শিশুর শরীরে তেল ও ময়লা ধুয়ে ফেলতে গোসল করানো জরুরী।
৩. শিশুর ত্বকের যত্নে এ সময় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের বিকল্প নেই। গোসলের পর শিশু শরীরে অলিভ অয়েল অথবা ময়েশ্চারাইজিং বেবি লোশন ব্যবহার করুন।
আরো পড়ুনঃ শীতকালে শিশুর নিউমোনিয়া
৪. ঘরে তাপমাত্রা কিছুটা গরম হলে শিশুকে ভারী পোশাক পরিয়ে রাখবেন না। যদি ঘরের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি হয় তবে সুতি কাপড় পরিয়ে কাথা দিয়ে জড়িয়ে রাখুন যাতে শিশুর ত্বকে বাতাস চলাচল করতে পারে। ঘরে তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রীর নিচে হলে সোয়েটার ব্যবহার করতে পারেন। শিশুকে ঘনঘন বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। বুকের দুধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ফলে শিশু ঠান্ডা কাশিতে কম আক্রান্ত হয়।
৫. শীতে শিশুকে বেশি শোষণ ক্ষমতার ডায়াপার পড়ান। কারণ শীতে ডায়াপার ভিজে গেলে বা লিক করলে শিশুর ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি বাড়ে।
৬. শীতে শিশুকে খাওয়াতে হবে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর খাবার। এ সময় তাদেরকে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে। লেবু, কমলা, মাল্টা, আমলকি এসব ফল খেতে দিতে হবে। তবে যারা চিবিয়ে খেতে পারে না তাদেরকে ফলের রস করে খাওয়াতে পারেন।
৭. শিশুর নাক দিয়ে রক্ত পড়লে আতঙ্কিত হবেন না। সর্দি বা সাইনাসের সংক্রমণ ও এলার্জি হলে শিশুর নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। এ কারণে শুষ্ক বাতাস থেকে শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। এর পাশাপাশি প্রতিদিন শিশুর নাকে স্যালাইন স্প্রে বা নাকের জেল ব্যবহারের মাধ্যমে রক্ত পড়ার সমস্যা রোধ করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ একজন নবজাতক শিশু তার মাকে কীভাবে চিনতে পারে?