পরীক্ষার আগে আপনার শিশুর অ্যাংজাইটির সমস্যা দেখা দিচ্ছে?

  • ফারজানা আক্তার 
  • মার্চ ২০, ২০২৩

পরীক্ষার আগে অনেক শিশুর অ্যাংজাইটির সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত চিন্তা এবং মানসিক চাপ থেকে শিশুদের এই ধরণের অ্যাংজাইটি হয়ে থাকে। যদি আপনি সঠিক সময়ে এই অ্যাংজাইটি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তবে পরবর্তীতে বড় ধরণের সমস্যা হতে পারে। এখন নিশ্চয় আপনাদের মনে প্রশ্ন জেগেছে কিভাবে করবেন এই সমস্যার সমাধান?

আপনার শিশুর খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন কিছু খাবার যা তাঁদের অ্যাংজাইটির সমস্যা সমাধান করতে সহায়তা করবে। 

ডিম: ডিম প্রোটিনের চমৎকার উৎস। এতে আছে ট্রিপটোফ্যান, অ্যামিনো অ্যাসিড। অ্যামিনো অ্যাসিড সেরোটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে। এটি একটি রাসায়নিক নিউরোট্রান্সমিটার। রাসায়নিক নিউরোট্রান্সমিটার মস্তিষ্ক, অন্ত্র ও রক্তের প্লেটগুলোতে উপস্থিত থাকে। এবং এটি মেজাজ ঠিক রাখে। ঘুম, স্মৃতি এবং আচার - আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে। আপনার শিশুকে নিয়মিত ডিম খাওয়াতে পারেন। সরাসরি ডিম খেতে না চাইলে ডিমের তৈরী নানানরকম মুখরোচক খাবার বানিয়ে খাওয়াতে পারেন। 

আরো পড়ুন : ডিম বাড়ায় হৃদরোগের ঝুঁকি!

ডার্ক চকলেট : বাচ্চারা চকলেট খেতে এমনিতেই পছন্দ করে। বাচ্চাদের ডার্ক চকলেট খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। কারণ, ডার্ক চকলেটে রয়েছে কোকো পাউডার যা অন্ত্র এবং মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ট্রিপটোফ্যান আছে যা মন - মেজাজ ভালো রাখে।

হলুদ : হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামক উপাদান। এটি প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে। আপনার শিশুকে হলুদ দুধ খাওয়াতে পারেন। এটি উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা নিয়ন্ত্রণ করে। রান্নাতে আমরা সকলে এমনিতে হলুদ খাই। তবে হলুদ দুধ মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহযোগিতা করে। 

দই : আপনি যদি আপনার শিশুকে নিয়মিত দই খাওয়ান তবে তাঁদের অ্যাংজাইটির সমস্যা কমে আসবে। তবে অনেক শিশুর ঠান্ডার সমস্যা থাকে তাঁদের জন্য আবার দই হিতে বিপরীত হতে পারে। যাঁদের ঠান্ডার সমস্যা রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে দই এড়িয়ে যাওয়া ভালো। দইয়ে উপকারী ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। এটি মস্তিষ্কের জন্য বেশ উপকারী। 

আরো পড়ুন : গর্ভাবস্থায় একজন মা যেসব খাবার খাবেন এবং যেসব খাবার খাবেন না!

বর্তমান সময়ে ছোট বড় সকলের নানানরকম মানসিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, কিডনির রোগ, প্যানিক অ্যাটাক এবং অ্যাংজাইটির মতো সমস্যায় ভুগছে। আপনার শিশুর এই জাতীয় কোনো সমস্যা দেখা দিলে সবার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। এবং খাদ্য তালিকায় উল্লেখিত খাবারগুলো যুক্ত করে নিন। 

সকলে ভালো থাকুন। আপনার শিশুর যত্ন নিন। শুভকামনা। 

 

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment