শিশুর মাথাব্যথা হলে যেসব লক্ষণ এড়িয়ে যাবেন না।
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- মার্চ ২০, ২০২৩
সব শিশুরাই কমবেশি দুরন্ত হয়। খেলার ছলে পড়ে যাওয়া কিংবা শরীরে ব্যথা পাওয়ার ঘটনা সব শিশুর সঙ্গেই ঘটে। তবে শিশু হঠাৎ করে পড়ে গিয়ে মাথায় ব্যথা পাওয়ার ঘটনা কিন্তু হেলাফেলা করবেন না। কারণ হঠাৎ মাথায় কোন কারনে আঘাত লাগলে তা ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনতে পারে।
আঘাত গুরুতর হলে শিশু শারীরিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে পারে। মস্তিষ্ক সারা শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করে তাই শিশুর মাথায় আঘাত পাওয়ার ঘটনা কখনো এড়িয়ে যাবেন না। শিশু হয়তো তার সমস্যার কথা বলতে পারবে না কিন্তু অভিভাবকের উচিত সে বিষয়ে সতর্ক থাকা।
আরো পড়ুন : রোজায় মাথা ব্যাথা হলে যা করবেন
কোন স্থান থেকে পড়ে গিয়ে দেয়ালে কিংবা ভারী কোন বস্তুর সঙ্গে শিশু সজোরে মাথায় আঘাত পেলে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। যেমন অত্যাধিক যন্ত্রণা, কথা বলার সমস্যা, শরীরের ভার নিতে না পারা, মাথা ঘোরা, বমি, সঠিকভাবে হাঁটাচলা না করতে পারা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, অবসাদ, উদ্বেগ, স্মৃতি হারিয়ে ফেলা, অনিদ্রা, দুর্বলতার মতো সমস্যা হতে পারে।
আঘাত গুরুতর হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে ব্রেন ডেথ হতে পারে। আবার ফেসিয়াল প্যারালাইসিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এমনকি হেমারেজ, মাথায় ফ্র্যাকচার, ডিফিউস অ্যাক্সোনাল ইনজুরিয়া হতে পারে। বিশেষ করে বলছেন শিশুদের রক্তনালী পাতলা ও ছোট হয় ফলে মাথায় আঘাত লাগলে সেখান থেকে গুরুতর সমস্যা হতে পারে।
যে উপসর্গগুলো অবহেলা করবেন না:
- আঘাত লাগার পর যদি নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
- কথা বলতে বা দেখতে অসুবিধা হয়।
- নাক, কান, মুখ দিয়ে আঁচমকা রক্ত বের হলে।
- অতিরিক্ত বমি ও খিচুনি হলে কিংবা শিশু অচেতন হয়ে গেলে।
আরো পড়ুন : মাইগ্রেন কেন হয়? মাইগ্রেনের বিস্তারিত বর্ণনা
এক্ষেত্রে যা করবেন:
প্রথমে শিশুকে শুয়ে দিয়ে মাথায় আঘাতে বা ফোলা স্থানে বরফ দিন। চামড়া কেটে রক্ত বের হলে রক্তপাত বন্ধ করতে কাটার স্থান পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চেপে ধরে রাখুন। সম্ভব হলে দ্রুত শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। এসব লক্ষণ দেখলে শিশুকে স্নায়ু রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে মাথার সিটি স্ক্যান করাতে হবে।
মাথায় আঘাত গুরুতর না হলেও পরবর্তী ২৪ ঘন্টা শিশুর উপরে কড়া নজর রাখুন। অনেক সময় উপসর্গগুলো দেরিতেও প্রকাশ পায়।