বার্থোলিনের সিস্ট কী? এর চিকিৎসা পদ্ধতি কেমন?
- ওমেন্স কর্নার
- এপ্রিল ১, ২০২৩
বার্থোলিন গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থি মেয়েদের ভ্যাজাইনা বা যোনিদ্বারের পাশে ২ দিকে অবস্থিত মটরদানার মত আকারের দুটি গ্ল্যান্ড। এদের কাজ হলো যৌন উত্তেজনা বা মিলনের সময় লুব্রিকেশনের জন্য রস নিঃসরণ করা।
অনেক সময় চোট লাগা বা অন্য কোনো কারণে এই গ্ল্যান্ডের মুখটি ব্লক হয়ে গেলে, এর নিঃসৃত রস ভেতরেই জমে গ্ল্যান্ডটি আস্তে আস্তে ফুলে ওঠে। যেহেতু এতে কোনো ব্যথা হয়না তাই যতক্ষন না ফোলা খুব বড় হয়ে যাচ্ছে বা তাতে ইনফেকশন/সংক্রমণ না হচ্ছে ততক্ষণ রোগী নিজেও টের পায় না। একেই বলে বার্থোলিন সিস্ট।
সিস্ট অবস্থায় চিকিৎসা করলে সহজে সেরে যায়। অনেকদিন চিকিৎসা না করে ফেলে রাখলে সিস্টে ইনফেকশন হয়ে অ্যাবসেস হয়ে যেতে পারে। ভেতরে পুঁজ জমে, লাল হয়ে ফুলে ওঠে, সঙ্গে অসহ্য যন্ত্রণা-হাঁটতেও সমস্যা হয়। এই অবস্থায় সার্জারি ছাড়া সারা মুশকিল।
আরো পড়ুন: পিরিয়ডকালীন পেট ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়
যখন সিস্ট অবস্থায় থাকে তখন গরম সেঁক, বা সিটজ (Sitz) বাথ দেওয়া যেতে পারে। এতে বাথটাবে বা গামলায় গরম জল ভরে, কখনো কিছু সুথিং ওষুধ দিয়ে নির্দিষ্ট সময় বসে থাকতে হয়।
অ্যাবসেস হলে Incision and drainage করা যেতে পারে, যাতে সার্জেন স্ক্যালপেল দিয়ে ছোট করে কেটে পুঁজ বের করে দিতে পারেন, বা মারসুপিয়ালাইজেশন (marsupialisation) করা যেতে পারে, যাতে উপরের চামড়াটা সরিয়ে পুঁজ বের করে চামড়াটা পাশে সেলাই করে দেওয়া হয়, পুঁজ জমার আর জায়গা থাকেনা। অনেক সময় সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে দেওয়া হয়।
বার্থোলিন সিস্ট একবার হলে আবার হতে পারে। বারবার হলে ডাক্তার বার্থোলিন গ্ল্যান্ডটিকে কেটে বাদ দিয়ে দিতে পারেন।
আরো পড়ুন: ডিম্বাশয়ে ক্যান্সার হবার কয়েকটি মারাত্মক লক্ষণ