টিভি স্মার্ট ফোন কাছ থেকে দেখলে শিশুর চোখে কী ধরণের সমস্যা হয়? পড়ুন বিস্তারিত
- কবিতা আক্তার
- এপ্রিল ১১, ২০২৩
বর্তমানে কমবেশি সব শিশুরা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে আসক্ত। বিশেষ করে স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে কার্টুন দেখা কিংবা গেম খেলা সহ টিভি দেখা তো আছেই।শিশুর ঘন্টার পর ঘন্টা টিভি দেখা বাই স্ক্রিনের সামনে থাকার কারণে প্রায়ই অভিভাবকদের মনে প্রশ্ন জাগে যে টিভি বা কম্পিউটারের খুব কাছাকাছি বসে থাকার কারণে শিশুর চোখে ক্ষতি হবে না তো!অতিরিক্ত স্ক্রিনের সামনে থাকার কারণে শিশুর চোখে মায়োপিয়া বা অদূরদর্শিতা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ আপনার শিশু চোখের সমস্যায় ভুগছে? বুঝে নিন তাদের বিশেষ কিছু আচরণে!
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের চোখ নরম ও তাদের চোখের কর্নিয়ার কোলাজেন খুব নরম। যখনই শিশুরা এই গ্যাজেটগুলো ব্যবহার করে, তারা তাদের চোখ ঠিক মতো পলক ফেলেনা। প্রতিসরণ সুযোগ কম থাকা সত্ত্বেও তারা দীর্ঘক্ষণ টিভি বা আইসক্রিম দেখার জন্য তাদের চোখকে চাপ দেয়।এই শিশুদের যখন একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে দেখানো হয়, তখন এই শিশুদের মাঝারি থেকে উচ্চমাইয়োপিয়া বা অস্টিগোমেটিজম বা উভয়ই ধরা পড়ে।
প্রাথমিকভাবে এই পরিবর্তনগুলো সংশোধন করা যেতে পারে, তবে এটি প্রতিটি ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। যদি শিশুটি ছোট পর্দায় ঘনিষ্টভাবে দেখে, তবে এই প্রতিসরণ ত্রুটির যুক্তি বেশি।
আমেরিকান অপটোমেট্রিক এসোসিয়েশনের মতে, দীর্ঘদিন ধরে কম্পিউটার, ট্যাবলেট, মোবাইল বা স্ক্রিন ব্যবহার করলে চোখের ওপর চাপ পড়ে এবং চোখ ও চোখ সংক্রান্ত সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। একে কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম বলা হয়।
আরো পড়ুনঃ শিশুর চোখ উঠলে বুঝবেন যেভাবে
যদি আপনার শিশুটি টিভি,কম্পিউটার বাই স্ক্রিনের দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকে, তাহলে সে হয়তো কম পলক ফেলবে। শিশুকে এ বিষয়ে সতর্ক করুন ও তাকে দূর থেকে টিভি ইত্যাদি দেখতে বলুন।
যেভাবে শিশুকে মোবাইল থেকে দূরে রাখবেন-
প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায়, শিশুরা আরো ঘনিষ্ট ভাবে ফোকাস করতে সক্ষম হয় ও তাদের চোখের উপর খুব বেশি চাপ পড়ে না। তবে কোনো অবস্থাতেই খুব কাছ থেকে পর্দার দিকে তাকানো ঠিক নয়।
আপনার সন্তান যদি অতিরিক্ত স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকে, তবে তার এরই মধ্যে দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অবিলম্বে চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে। দীর্ঘক্ষণ ধরে টিভি দেখার ফলে শুধু মায়োপিয়া বা চোখের সমস্যায় হতে পারে না, শিশুর স্থূলতার ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে। তাই অভিভাবকের উচিত শিশুর দিকে খেয়াল রাখা।