পা ঘেমে আঙুলের ফাঁকে ঘা হলে কী করবেন?
- ওমেন্স কর্নার
- এপ্রিল ১৬, ২০২৩
যারা নিয়মিত মোজা ও পা ঢাকা জুতা পরেন, এই গরমে তাদের পায়ে ইনফেকশন বা সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। গরমে মোজা পরার পর, সেগুলো খুললেই দুর্গন্ধ বের হয়। পা থেকে ঘাম বের হওয়ার কারণেই এমনটি ঘটে।
এছাড়া অনেকের ঘামের কারণে পায়ের আঙুলের নীচের অংশের চামড়া ওঠে কিংবা শক্ত হয়ে যায়। এটি এক ধরণের সংক্রমণ, যা ‘অ্যাথলিটস ফুট’ নামে পরিচিত। তবে এই সংক্রমণে পা অ্যাথলিটের পায়ের মতো শক্ত হয় না, বরং পচতে শুরু করে।
আরো পড়ুন: কোলেস্টেরল কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না? জানুন সমাধান।
পা অতিরিক্ত ঘামার কারণেই এমনটি ঘটে। এটি এক ধরনের দাদ, যা পায়ের আঙুল থেকে শুরু হয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই সংক্রমণে পায়ের তলার ত্বক পচতে শুরু করে। ঘামযুক্ত মোজা ও জুতা পরলেও গরমে পায়ে দাদ হওয়ার সমস্যা বাড়ে।
কেন এই সংক্রমণ হয়?
জুতা পরার পর পায়ে ক্রমাগত ঘাম হয়। এই ঘামে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যায়। এই ব্যাকটেরিয়া পায়ের মৃত ত্বকের সঙ্গে মিশে দুর্গন্ধ তৈরি করে। যদি কারো পায়ে প্রচুর দুর্গন্ধ হয়, বুঝতে হবে তার পায়ে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়েছে।
সংক্রমণ থেকে বাঁচতে করণীয়-
ধোয়া মোজা পরুন:
পা শরীরের এমন একটি অংশ যা সবচেয়ে বেশি ঘামে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ জুতার সঙ্গে মোজা পরে। মোজা ধোয়ার ফলে ঘামও ধুয়ে যায় ও পায়ে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস ছড়ায় না।
তবে একই মোজা বারবার পরলে বা মোজা ছাড়া জুতা পরলে, জুতায় ঘাম জমতে শুরু করে। ফলে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস বাড়তে থাকে। এই সংক্রমণের কারণে ছত্রাকগুলো পায়ে দাদ হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তাছাড়া একই স্টকিং না ধুয়ে বারবার পরবেন না। এমনকি মোজা ধোয়ার পরেও সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করা প্রয়োজন। ধোয়ার সময় মনে রাখবেন, মোজা থেকে ডিটারজেন্টটি ভালোভাবে সরানো হয়েছে।
অন্যথায় আক্রান্ত স্থানে ফুসকুড়ি ও জ্বালা হতে পারে। মোজা পরার সময় খেয়াল রাখবেন যেন সেগুলো সম্পূর্ণ শুকনো থাকে ও তাতে কোনো আর্দ্রতা না থাকে।
স্যান্ডেল পরুন:
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘামের আর্দ্রতা নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যাতে পায়ে বাতাস লাগে এজন্য খোলা স্যান্ডেল পরুন। যাতে বাতাস পায়ের পাতায় পৌঁছায় ও ঘা শুষ্ক থাকে।
আরো পড়ুন: কিডনির পাথর দূর করার ঘরোয়া উপায় জানুন
প্রয়োজনে সপ্তাহে অন্তত একদিন জুতা ও মোজার পরিবর্তে স্যান্ডেল বা চপ্পল পরে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
ঢিলেঢালা মোজা পরুন:
টাইট মোজা রক্ত সঞ্চালনকে ধীর করে দেয়। এছাড়া আঁটসাঁট মোজাও শরীরের তাপ বের হতে দেয় না, যা অতিরিক্ত গরমের সমস্যা হতে পারে। পায়েরও শ্বাস নিতে হয়। সেজন্য কিছু সময় পা খোলা রাখা ও ঢিলেঢালা মোজা পরা প্রয়োজন।
পায়ের মাপের চেয়ে একটু বড় সুতির মোজা পরুন। মোজাগুলো যথেষ্ট শক্ত হওয়া উচিত যাতে ত্বকে কোনো চিহ্ন না থাকে। যদি মোজা থেকে ত্বকে দাগ তৈরি হয়, তাহলে এর অর্থ আপনাকে বড় সাইজের মোজা নিতে হবে।
সূত্র: প্রেসওয়্যার ১৮