যে সব সমস্যায় পিরিয়ডের সময় ব্লিডিং খুব কম হয়
- কবিতা আক্তার
- মে ২৩, ২০২৩
হরমোনের তারতম্যের জন্য পিরিয়ডে প্রভাব পড়ে। পিরিয়ডের ফ্লো কম হলেও এই সমস্যা হতে পারে।পিরিয়ড সংক্রান্ত নানা রকমের ঝামেলা ও চিন্তায় জর্জরিত মেয়েরা। মাসের ওই কয়েকটা দিন সকলকে কিছু না কিছু হ্যাপা পোহাতে হয়। কারোর বেশি হয়, কারোর কম, এছাড়াও নানারকমের সমস্যা থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ২১-৩৫ দিনের মধ্যে মোটামুটি সকলের পিরিয়ড হয়। তবে আপনার যদি কম ফ্লো বা লাইট পিরিয়ড হয় তাহলে সাবধান হন এখনই।
আরো পড়ুনঃ পিরিয়ডে ব্লিডিং অনেক কম। কি করলে ব্লিডিং স্বাভাবিক হবে?
চিকিৎসকদের মতে এটি আপনার কোন শারীরিক সমস্যার কারণে হতে পারে। আবার দীর্ঘস্থায়ী পিরিয়ড আপনার প্রজনন ব্যবস্থা কে প্রভাবিত করে। যেমন মেনোপজ এর আগে, মানসিক চাপ, হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি সহ নানা কারণে এই ফল হতে পারে। তাই অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া দরকার।
কেমন করে বুঝবেন প্রয়োজনের তুলনায় কম হচ্ছে পিরিয়ড?
- প্যাড বা ন্যাপকিন পরিবর্তন করার প্রয়োজন কম।
- ৫ দিনের কম সময়।
- খুব হালকা রক্তপাত।
- ব্লাডের বদলে হালকা দাগ ইত্যাদি।
যে কারণে এই সমস্যা হতে পারে জেনে নিন।
কম ইস্ট্রোজেনের মাত্রাঃ যেসব মহিলার ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কম তাদের পিরিয়ডের সময় হালকা রক্তপাত হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইস্ট্রোজেন জরায়ুর আস্তরণের পুরুত্ব বাড়ায়। অত্যাধিক ব্যায়াম, খারাপ ডায়েট বা ডিম্বস্ফোটনে ব্যাঘাতের কারনেও ইস্ট্রোজেন কমে যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ পিরিয়ডের সময় টক খেলে ব্লিডিং বাড়ে!! কথাটার সত্যতা জানেন?
রক্তে প্রোল্যাক্টিনের মাত্রা বৃদ্ধিঃ প্রোল্যাক্টিন হল এক ধরনের হরমোন, যা মহিলাদের স্তন বৃদ্ধি এবং দুগ্ধ উৎপাদনের সঙ্গে সম্পর্কিত। রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে পিরিয়ডের ফ্লো হালকা বা অনিয়মিত হতে পারে। এর পাশাপাশি উচ্চ প্রোল্যাক্টিন মহিলাদের প্রজনন উর্বরতাকেও কমায়।
থাইরয়েড থাকলেঃ বেশি বা কম থাইরয়েড হরমোন নির্গত হলে আপনার পিরিয়ড ফ্লো কম বা বেশি হতে পারে। এই রোগ থাকলে কয়েক মাস বা তার বেশি সময়ের জন্য পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ পিরিয়ডের সময় তলপেটে ব্যথার কারণ এবং প্রতিকার !
ডিম্বস্ফোটন হ্রাসঃ বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম্বস্ফোটন হ্রাস পেলে মহিলাদের পিরিয়ডের ফ্লো কমে যেতে পারে। যখন শরীরে ডিম্বস্ফোটনের মাত্রা যথেষ্ট পরিমাণে হয় না তখন ফ্লো কমে বা অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে।
রক্তশূন্যতা হলেঃ রক্তস্বল্পতা ও পিরিয়ডের সঙ্গে সম্পর্কিত। যদি প্রয়োজনের তুলনায় পিরিয়ড কম হয় তাহলে অ্যানিমিয়ার শিকার হতে পারেন। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না।