গরমের ক্লান্তি নাকি হিটস্ট্রোক? জেনে নিন লক্ষণ
- ওমেন্স কর্নার
- জুন ৪, ২০২৩
ভয়াবহ গরমের এই সময়ে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে প্রায় প্রতিদিনই। গরমে ও রোদে বাইরে বের হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এই তাপমাত্রা বেড়ে ১০৪ ডিগ্রি বা এরও বেশি হয়ে গেলে মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। এই পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক থাকার বিকল্প নেই। বিবিসিতে প্রকাশিত একটি আর্টিকেল জানাচ্ছে গরমের ক্লান্তি ও হিটস্ট্রোকের মধ্যে পার্থক্য এবং হিটস্ট্রোক এড়াতে করণীয় সম্পর্কে।
গরমের ক্লান্তি নাকি হিটস্ট্রোক?
গরমে ক্লান্ত লাগলে প্রচুর ঘাম হবে। কিন্তু হিটস্ট্রোকের ক্ষেত্রে ঘাম হবে না। ত্বক হয়ে পড়বে শুষ্ক ও লালচে। তবে দুই ক্ষেত্রেই বমি বমি ভাব কিংবা বমি হতে পারে। গরমে মাংসপেশির আড়ষ্টতা দেখা দিতে পারে। তবে এটা হিটস্ট্রোকের লক্ষণ নয়। হিটস্ট্রোকের লক্ষণ হচ্ছে চোখে ঝাপসা দেখা, বমি বমি ভাব কিংবা বমি হওয়া, অবসাদ ও দুর্বলতা, মাথা ঝিমঝিম করা, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
আরো পড়ুন: আপনার যে ভুলে রক্তনালিতে জমাট বাঁধে কোলেস্টেরল
করণীয়:
কেউ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হবে। রোদ থেকে সরিয়ে ছায়ায় নিয়ে গিয়ে গায়ের ভারি কাপড় খুলে দিন। গায়ে ঠান্ডা পানি ঢালুন কিংবা গা স্পঞ্জ করে দিন। শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা কমে গেলে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান রোগীকে।
হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে কী করবেন?
- প্রচুর পরিমাণে পানি ও পানিজাতীয় খাবার খান। ডাবের পানি, স্যালাইন, পানিজাতীয় ফল ও সবজি রাখুন খাদ্যতালিকায়।
- দুপুরের কড়া রোদে বের না হওয়ার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে এই সময়ে ব্যায়াম বা রোদে হাঁটাহাঁটি করবেন না।
- বাইরে বের হলে সঙ্গে পানি রাখুন ও কিছুক্ষণ পরপর পানি পান করুন।
আরো পড়ুন: পায়ে ব্যথা ও চুলকানি হতে পারে কঠিন রোগের লক্ষণ!
- ছাতা নিয়ে বের হবেন।
- হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।