ডায়াবেটিস ছাড়াও কঠিন যে ৫ রোগে ঘনঘন প্রস্রাব হতে পারে
- কবিতা আক্তার
- জুন ১৩, ২০২৩
ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে বারবার মূত্রত্যাগের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তবে ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ শুধু ডায়াবেটিস নয় বরং বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হতে পারে।
কিডনির সমস্যা থেকে শুরু করে মূত্রাশয়ের সংক্রমণ বা ক্যান্সার এমনকি মানসিক চাপের কারণেও এমন লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
মূত্রনালীর সংক্রমণঃ কিডনি, মূত্রনালী, মূত্রাশয় ইত্যাদি মূত্র যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিবেচিত। যখন এই অংশগুলোর যেকোনোটিতে সংক্রমণ ঘটে তখন তাকে মূত্রনালীর সংক্রমণ বলা হয়। এর মধ্যে আছে ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া, ব্যথা, জ্বালাপোড়া ও ফেনা হওয়া।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি?
প্রোস্টেট সংক্রমণঃ পুরুষরা যদি বারবার প্রস্রাবের তাগিদ অনুভব করেন তাহলে শুধু তার ডায়াবেটিস নয় বরং প্রোস্টেট সংক্রমণ বা প্রোস্টেট বড় হওয়ার কারণও হতে পারে। এই গ্রন্থি শুধু পুরুষদের মধ্যে থাকে যা মুত্রাশয়ের নিচে থাকে ও বীর্য উৎপাদন করে।
মূত্রাশয়ের সমস্যাঃ মুতরাশয়ের সমস্যা হলে প্রচন্ড ব্যথা হয় পেটের নিচের অংশে। একই সঙ্গে চাপ অনুভূত হয়। এতে বারবার প্রস্রাব হতে পারে ও প্রতিবারই ব্যথা হয়।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় মূত্রনালীর সংক্রমন কি, এর কারণ এবং প্রতিকার
মূত্রাশয় ক্যান্সারঃ ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা মূত্রাশয় ক্যান্সারের ও লক্ষণ হতে পারে। যদিও এটি বিরল তবে উপেক্ষা করা যায় না। এ রোগে হঠাৎ প্রস্রাবের চাপ ও প্রস্রাব এর সঙ্গে প্রচন্ড জ্বালাপোড়া হয়।
আপনার যদি ওভারঅ্যাকটিভ মূত্রাশয় থাকে তাহলেও আপনার ঘনঘন প্রস্রাব হতে পারে। এতে প্রস্রাব করার পরও প্রস্রাবের চাপ থাকে।
আরো পড়ুনঃ শিশুর প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়েছে কিনা বুঝবেন যেভাবে
মানসিক চাপঃ জানলে অবাক হবেন, মানসিক চাপ বা উঠবেগ ও কিন্তু ঘনঘন প্রস্রাবের প্রবণতা বাড়ায়। কারণ যখনই পেটের পেশি টানটান থাকে তখনই এর উৎপাদন বেড়ে যায়। আর পেশিগুলো চাপের মধ্যে শক্ত হয়ে যায় কোন আঘাত বা বিপদ থেকে রক্ষা পেতে।ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার সমস্যা কে ডায়াবেটিস ভেবে ভুল করবেন না। বরং যত দ্রুত সম্ভব একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যান যিনি আপনাকে ভালোভাবে পরীক্ষা করে সঠিক প্রতিকার ও ঔষধের পরামর্শ দেবে।