কোন রোগের কারণে ফুসফুসে পানি আসে?
- ওমেন্স কর্নার
- জুন ৩০, ২০২৩
ফুসফুসে পানি আসা বেশ প্রচলিত একটি সমস্যা। এ সমস্যার প্রধান কারণ নিউমোনিয়া। তবে, এ ছাড়া বেশ কিছু রোগের কারণে ফুসফুসে পানি আসে। তবে, এটির চিকিৎসাও রয়েছে।
শরীরের কোন কোন জায়গায় কীভাবে প্রথমে পানি আসে, সেটি দেখতে আসলে রোগ নির্ণয় করার উপায় আছে কিনা, সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. মশিউর রহমান সুজন বলেন, ‘অনেক উপায় আছে। যেমন : কার্ডিয়াক সমস্যা-হার্টের সমস্যার কারণে যদি ফুসফুসে পানি জমে, সেক্ষেত্রে রোগীর কার্ডিয়াক বা হার্টের হিস্ট্রি থাকবে। শ্বাসকষ্ট থাকতে পারে, রোগী হার্টের ওষুধ সেবন করবে। রোগীর হাইপারটেনসিভ হতে পারে, প্রেসারের হিস্ট্রি থাকতে পারে। রোগী শুয়ে থাকলে তার শ্বাসকষ্ট হয়। এসব বিষয় থেকে আমরা ধারণা করতে পারি যে, তার কার্ডিয়াক সমস্যা রয়েছে।’
আরো পড়ুন:
মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে আপনার অভ্যাসেই, জানুন বিস্তারিত
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে কী কী খাবেন আর কী এড়িয়ে চলবেন
যদি কোনো রোগীর বুকে পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে পেটেও পানি চলে আসে, তখন তাকে অ্যাসাইটিস বলে। রোগীর জন্ডিসের হিস্ট্রি থাকবে। এটা দিয়ে আমরা ধারণা করতে পারি। লিভারের জন্য তার পানি আসছে। আর কিডনিতে যদি পানি আসে, তাহলে তার কিডনির হিস্ট্রি থাকবে। রোগীর আগে থেকে যদি ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করানো থাকে, সেক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনিন উচ্চ হবে। একইসঙ্গে ওই সব রোগীর পায়ে পানি থাকতে পারে, রক্তশূন্যতা থাকতে পারে, অ্যানিমা থাকতে পারে, হাইপারটেনশন থাকতে পারে, রোগীর ডায়ালাইসিস হিস্ট্রি থাকতে পারে। এসব লক্ষণ দেখে আমরা পরবর্তীতে চিন্তা করব যে, তার কিডনির জন্য পানি আসছে কিনা।’
সেক্ষেত্রে আসলে চিকিৎসা পদ্ধতি কোন দিকে যাবে, সেটি আসলে চিকিৎসকরা কীভাবে নির্ণয় করে থাকে, সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. মশিউর রহমান সুজন বলেন, ‘এটি আসলে রোগের কারণের উপর নির্ভর করে। সবচেয়ে সাধারণ কারণ হচ্ছে—যক্ষ্মা। যক্ষ্মার জন্য যদি আমাদের শরীরে পানি আসে, তাহলে চিকিৎসা হলো—পানিটা যতটুকু সম্ভব বের করে দিতে হবে। আমরা টিবির ওষুধ সেবন করতে দেব। ক্যাটাগরি–১, যেটা ৬ মাসের টিবি ওষুধ দেব।
আরো পড়ুন:
হঠাৎ কেউ স্ট্রোক করলে কি করবেন? জেনে নিন
আয়ুর্বেদিক উপাদান হিসেবে নিম পাতার ব্যবহার
স্টেরয়েড গ্রুপের ওষুধ দুই মাসের জন্য দেওয়া হলে, রোগীর শরীরের পানি খুব তাড়াতাড়ি শোষণ করে নেয়। এটা বারবার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। আমরা তাকে বিশেষ একটি শরীর চর্চার পরামর্শ দিয়ে থাকি। যেটাকে থ্রি বল রেসপিরো মিটার বলা হয়। এটিতে তিনটি কাঁচের নলের মধ্যে তিনটি বল ফুঁ দিয়ে ফুলাতে হয়। তাহলে তার ফুসফুস চুপসে থাকাটা সম্প্রসারণ করে। এটাকে এক প্রকার রেসপিরেটরি, অর্থাৎ পালমোনারি রিহ্যাবিলিটেশন বলা হয়। এটি চেস্টের একটি ফিজিওথেরাপি বা স্পাইরোমেট্রি।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘আর যদি নিউমোনিয়ার জন্য পানি আসে, আমরা সাধারণত নিউমোনিয়ার জন্য যে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকি। ওইটা দিলেই পানিটা চলে যায়। পানি সরানোর জন্য অন্য কোনো ওষুধের দরকার নেই।’