চোখ দেখেই বুঝে নিন কোন রোগের ঝুঁকি বেশি
- ওমেন্স কর্নার
- জুলাই ১০, ২০২৩
চোখ শুধু মনের কথায় বলে না! স্বাস্থ্য সম্পর্কেও নানা বিষয় বলে দেয় চোখ। এ কারণে চিকিৎসকের কাছে গেলে, তিনি সবার প্রথমে চোখ পরীক্ষা করেন।
তবে জানেন কি, চোখের রংও কিন্তু আগাম জানান দেয় আপনার কোনো রোগের ঝুঁকি আছে কি না। চলুন তবে এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক-
নীল, সবুজ বা ধূসর
নীল, সবুজ বা ধূসর চোখের মানুষের দেখা পেলেই আমরা অবাক হয়ে তাদেরকে দেখি! তবে জানেন কি, যাদের চোখের রং নীল, সবুজ কিংবা ধূসর তাদের চোখে একটি নির্দিষ্ট ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
যাকে বলা হয় ইউভেল মেলানোমা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর প্রায় ২৫০০ মানুষ এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন।
২০১১ সালের একটি ইউরোপীয় গবেষণায় জানানো হয়, নীল চোখ ও ফর্সা ত্বকের মানুষেরা বেশি টাইপ ১ ডায়াবেটিসে ভোগেন। যদিও এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
আরো পড়ুন: কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কী করবেন?
বাদামি বা নীল আভার চোখ
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বাদামি বা নীল আভা চোখ যাদের বয়স বাড়তেই তাদের শ্রবণশক্তি কমে অন্যদের চেয়ে।
এর কারণ হলো, বাদামি চোখের মানুষের চোখ ও কানে বেশি মেলানিন থাকে। শব্দের মাত্রা বেড়ে গেলে এটি তাদের কিছুটা বেশি সুরক্ষা দেয়। তবে এর কারণে পরবর্তী সময়ে শ্রবণশক্তি কমে।
যে নারীদের চোখ নীল রঙের তাদের এন্ডোমেট্রিওসিসের ঝুঁকি বেশি। এক্ষেত্রে জরায়ুর ভেতরের টিস্যু এর বাইরেও বেড়ে যায়।
যখন এটি মূত্রাশয় ও অন্ত্রের মতো অঙ্গগুলোতে আক্রমণ করে, তখন একে বলা হয় গভীর অনুপ্রবেশকারী এন্ডোমেট্রিওসিস। যেসব নারীর চোখের রং নীল তাদের ক্ষেত্রে এই রোগের ঝুঁকি বেশি।
গাঢ় বাদামি
গাঢ় বাদামি চোখের মানুষের মধ্যে ছানির সমস্যা বেশি দেখা দেয়। অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষণায় এমনই তথ্য জানানো হয়েছে। তবে বিভিন্ন চোখের রং নির্বিশেষেও ছানি পড়তে পারে।
আরো পড়ুন: শ্বাসকষ্ট-নাক দিয়ে রক্ত পড়া হতে পারে কঠিন যে রোগের লক্ষণ
বাদামি বা নীল রঙের দাগ
যাদের চোখের মধ্যে বাদামি বা নীল রঙের কোনো দাগ আছে, তা হতে পারে ওয়ার্ডেনবার্গ সিন্ড্রোমের একটি উপসর্গ। এই জেনেটিক ব্যাধির কারণে চুল, ত্বক ও চোখের রঙ্গক হারাতে পারে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারীর চোখের রং গাঢ় তারা প্রসবের সময় বেশি কষ্ট পান। অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যাদের চোখের রং হালকা তাদের বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার ঝুঁকিও বেশি।
এর কারণ হলো কম ইউভি আলো আইরিস দ্বারা শোষিত হয়। তাই আলো বেশি রেটিনাতে প্রবেশ করে ও ক্ষতির কারণ হতে পারে, রোগটি দৃষ্টিশক্তি হ্রাস করতে পারে।