যে ৩ কারণে পুরুষেরও হতে পারে ব্রেস্ট ক্যানসার
- ওমেন্স কর্নার
- জুলাই ১৬, ২০২৩
ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী বেড়েই চলেছে। বিশ্বে প্রতি ৬টি মৃত্যুর মধ্যে অন্তত একটি মৃত্যুর কারণ হলো ক্যানসার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে পুরো বিশ্বে শুধু ক্যানসার আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ৯.৬ মিলিয়ন মানুষের। এর মধ্যে ২২ শতাংশ ক্যানসারে মৃত্যুর জন্য দায়ী তামাক।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পুরুষদের মধ্যে ঠোঁট, ফুসফুস, পাকস্থলীর ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। অন্যদিকে মহিলাদের ক্ষেত্রে আবার স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সর্বাধিক। তবে স্তন ক্যানসার যে শুধু নারীদেরই হচ্ছে তা কিন্তু নয়, পুরুষদের শরীরেও থাবা বসাতে পারে এই ক্যানসার।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) তথ্য মতে, বয়সের সঙ্গে সঙ্গেই পুরুষের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। বেশিরভাগ স্তন ক্যানসারের রোগীই ৫০ বছর বয়সের পরে আক্রান্ত হন।
এ কারণে নিয়মিত স্তন স্ক্রিনিং করা জরুরি। ফলে পুরুষদের মধ্যে স্তন ক্যানসার প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত করা সম্ভব।
আরো পড়ুন: চোখ দেখেই বুঝে নিন কোন রোগের ঝুঁকি বেশি
পুরুষদের স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা সংক্রামক টিস্যুগুলোকে অপারেশন করে বাদ দিয়ে দেন। এছাড়া কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপিতে স্তন ক্যানসার সারানো যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, মধ্য ও পূর্ব আফ্রিকার পুরুষদের মধ্যে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাই বেশি। যকৃতে সংক্রমণ থেকেই তাদের স্তন ক্যানসার হয়। চিকিৎসকরা মূলত তিনটি কারণকেই এর জন্য দায়ী করেছেন।
>> জেনেটিকভাবে অনেক পুরুষের শরীরে এই রোগের জীবাণু থাকতে পারে। প্রায় ১৫-২০ শতাংশ পুরুষ বংশানুক্রমিকভাবেই স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন।
যেসব পুরুষের শরীরে অস্বাভাবিক বিআরসিএ-১ বা বিআরসিএ-২ জিন আছে তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুন: নখে সাদা দাগ পড়ে কেন?
>> শরীরে ইস্ট্রোজেন ও অ্যান্ড্রেজেনের অনুপাতের ভারসাম্যহীনতার কারণেও পুরুষদের স্তন ক্যানসার হতে পারে। একই সঙ্গে গাজা সেবন, থাইরয়েড, ওবেসিটি, যকৃতের কর্মহীনতার কারণেই পুরুষদের স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়ে।
>> অনেক সময় পুরুষের অণ্ডোকোষও তাদের শরীরে স্তন ক্যানসারের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
পুরুষের স্তন ক্যানসারের লক্ষণ কী কী?
আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির (এসিএস) তথ্য অনুসারে, পুরুষদের স্তন ক্যানসারের প্রাথমিক ৪ লক্ষণ একবারেই অবহেলা করা যাবে না-
>> স্তনে ব্যথাহীন কোনো পিণ্ড দেখা দেওয়া
>> স্তনের নিপল দিয়ে তরল পদার্থ বের হওয়া
>> স্তনের আশেপাশে গর্তের মতো হওয়া
>> স্তন বা স্তনের ত্বক বিবর্ণ হয়ে যাওয়া।
এছাড়া লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া, স্তনে ব্যথা ও হাড়ের ব্যথাও এই ক্যানসারের গুরুতর লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পায়।