ওজন কমাতে খাওয়ার লোভ এড়াবেন যেভাবে
- ওমেন্স কর্নার
- জুলাই ৩১, ২০২৩
অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। ভুল জীবনধারণ এই সমস্যার অন্যতম কারণ। রাতে ভালো ঘুম না হওয়া কিংবা মানসিক চাপের কারণেও মানুষের মধ্যে অতিরিক্ত খাওয়ার আকাঙ্খা বাড়ে। অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যা স্থূলতার অন্যতম কারণ।
এই সমস্যার কারণে অনেকে ওজন কমাতে চাইলেও পারেন না। আসলে খাওয়ার লোভ সামলানো ততটা সহজ নয়। বিভিন্ন খাবারের প্রতি সবারই ক্রেভিংস বা লোভ থাকে।
বিশেষ করে জাঙ্ক ফুড ও মিষ্টি খাবারের প্রতি সবারই লোভ থাকে। আর এসব খাবার রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, ফলে ক্ষুধাও বেড়ে যায়। এই অভ্যাস শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে।
নিজেকে সময় দিন ও লোভ সংবরণ করুন
পছন্দের কোনো খাবার দেখলে খাওয়ার আগে নিজের কথা ভাবুন। এক্ষেত্রে নিজেকে সময় দিন ও ভাবুন যে ওই খাবার খাওয়া আপনার জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে।
আরো পড়ুন: জিংকের ঘাটতি হয়েছে বুঝবেন যে ১০ লক্ষণে
বিশেষ করে অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার খেতে ইচ্ছে করলে কয়েকটি খেজুর বা কিশমিশ মুখে নিয়ে চিবাতে থাকুন। দেখবেন ক্রেভিংস কমে যাবে।
শরীরের প্রতি মনোযোগ দিন
ফিট থাকতে কতজন কতকিছুই না করেন। আপনি যদি স্থূলাকায় হন তাহলে যে কোনো লোভনীয় খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই দুবার ভাবুন।
মেনোপজের সময় নারীদের মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি লোভ বাড়ে। কারণ তখন শরীরের চিনির প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়া শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে গরুর মাংস কিংবা নোংরা খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়ে।
আবার প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার খেতে ইচ্ছে করলে বুঝতে হবে আপনার শরীর পর্যাপ্ত প্রোটিন পাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে সঠিক পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করুন।
দুশ্চিন্তা কমান
২০১৫ সালে ৬১৯ জনের উপর করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে মানুষের খাওয়ার আকাঙ্খা বাড়িয়ে দেয়। এর কারণ হলো, দীর্ঘস্থায়ী চাপ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সম্পর্কিত হরমোন স্তরের ক্ষতি করতে পারে।
আরো পড়ুন: নখে সাদা দাগ পড়ে কেন?
এক্ষেত্রে মানসিক চাপে থাকলে লোভনীয় খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। যখনই বুঝবেন আপনি মানসিক চাপে ভুগছেন তখন খাওয়ার চিন্তা না করে হাঁটতে যান, গান শুনুন, সহকর্মী বা বন্ধুর সঙ্গে মজার কথা বলুন।
পর্যাপ্ত ঘুমান
অনিদ্রা বিভিন্ন খাবারের প্রতি লোভ আরও বাড়িয়ে দেয়। ২৫৬ জন শিশু ও কিশোর-কিশোরিদের উপর ২০১৯ সালের এক সমীক্ষা অনুসারে, অনিদ্রা ক্ষুধা আরও বাড়িয়ে দেয়।
এর কারণ হলো ঘুমের অভাবে মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল কর্টেক্স ও অ্যামিগডালাকে প্রভাবিত করে, যা অত্যন্ত সুস্বাদু ও ক্যালোরি-সমৃদ্ধ খাবারের জন্য আপনার আকাঙ্খা বাড়িয়ে তুলতে পারে।