শ্বাসনালিতে খাবার আটকে গেলে দ্রুত যা করবেন
- ওমেন্স কর্নার
- আগস্ট ২, ২০২৩
শ্বাসনালিতে খাবার আটকে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগীর মৃত্যু হতে পারে। এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে। আর বিপদের মুহূর্তে রোগীর আশপাশের মানুষও বিচলিত হয়ে পড়েন, ফলে তখন ঠিক কী করণীয় তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। আর এ কারণে ওই রোগীকে বাঁচানোও সম্ভব হয় না।
তবে কারও যদি শ্বাসনালিতে খাবার আটকে যায় ও তাৎক্ষণিক তাকে পেছন থেকে ধরে দুহাত দিয়ে সজোরে বুকে চাপ দেওয়া যায় তাহলে হয়তো ওই ব্যক্তি বেঁচে যেতে পারেন।
আসলে শ্বাসনালিতে কিছু আটকে গেলে ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। যাকে বলা হয় এস্পিক্সিয়া। শ্বাসনালি একেবারে বন্ধ হয়ে গেলে হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্ক অক্সিজেনের অভাবে কাজ বন্ধ করে দেয়।
আরো পড়ুন: নখ দেখেই বুঝে নিন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কি না
এতে একজন মানুষের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে। যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় এনেক্সিয়া। খাওয়ার সময় গলায় খাবার আটকে যাওয়ার বিষয়টিকে হেলাফেলায় নেওয়া উচিত নয়। এক কৌশল জানা থাকলে আপনিও এমন ঘটনায় কাউকে বাঁচাতে পারবেন।
খাবার হোক বা অন্য কিছু কারও শ্বাসনালিতে আটকে গেলে প্রথমেই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হবে। কাশি, বুকের মধ্যে হাওয়ার শব্দ, বমি বমি ভাব, কথা বলতে না পারা, ঠোঁট নীল ও জ্ঞান হারানোর মতো সমস্যা হতে পারে। ৭-২ মিনিটের মধ্যে চিকিৎসা শুরু না করলে রোগীকে বাঁচানো মুশকিল হতে পারে।
যে উপায়ে বিপদ থেকে রক্ষা পাবেন
মার্কিন থোরাসিক সার্জন হেনরি জে হেইমলিচ ১৯৭৪ সালে গলায় খাবার আটকে গেলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সম্পর্কে একটি উপায় জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন: দাঁত দিয়ে নখ কাটলে কী হয়? বন্ধের ৫ উপায়
যে চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্যে মানুষকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে রক্ষা করা যায়। ওই পদ্ধতিটির নাম হলো ‘হেইমলিচ ম্যানিউভার’।
খাবার আটকে গেলে পিঠে চাপড় মারলে তেমন কোনো কাজ হয় না। এর চেয়ে হেইমলিচ ম্যানিউভার পদ্ধতিতে রোগীকে বিপদ থেকে বাঁচানো সম্ভব। এজন্য রোগীকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরুন।
তার পেট ও পাঁজরের সংযোগস্থলে দুহাতে ধরে সজোরে ধাক্কা দিন। এতে আটকানো খাবার মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসবে। এভাবে অনেকের প্রাণ বাঁচানো যায়।
আরো পড়ুন: নখের আশপাশে চামড়া ওঠার সমস্যা সারাতে যা করবেন
শ্বাসনালিতে খাবার আটকে গেলে অক্সিজেন চলাচল কমে যায়। এ সময় দ্রুত আটকে যাওয়া খাবারের টুকরো বের না করলে রোগীকে বাঁচানো যাবে না।
কোনো মানুষকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে দেখলে হেইমলিচ ম্যানেউভারের সাহায্যে তাকে সুস্থ করে তোলা যায়। তবে এক বছরের শিশু বা গর্ভবতী নারীর ওপর কখনোই হেইমলিচ ম্যানিউভার পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে না। প্রয়োজনে দ্রুত তাদের হাসপাতালে নিতে হবে।