ক্যালসিয়াম যুক্ত ৫ খাবার
- ওমেন্স কর্নার
- সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩
আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। শক্তিশালী হাড় তৈরি করতে আমাদের ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। দেহের ৯৯ শতাংশ ক্যালসিয়াম হাড়ের মধ্যে থাকে। মস্তিষ্ক এবং শরীরের অন্য অন্য অংশের মধ্যে স্বাস্থ্যকর যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য ক্যালসিয়াম বিশেষভাবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।
ক্যালসিয়াম পেশী এবং কার্ডিওভাসকুলার প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে। প্রাকৃতিক ভাবে অনেক খাবারে ক্যালসিয়াম থাকে, আবার খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কিছু নির্দিষ্ট পণ্যে ক্যালসিয়াম যুক্ত করে । ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট আকারেও পাওয়া যায়। ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে বড় উৎস হিসেবে অনেকেই উত্তর দিবেন দুধ। তবে অনেকেরই দুধ সহ্য হয় না। তাই রোজের খাদ্যতালিকায় দুধ ছাড়াও বেশ কিছু অন্য খাবার রাখা যেতে পারে।
যেসব খাবারে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়
টোফু
টোফুতে ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম। প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। দুধ খেতে সমস্যা হলে অনায়াসেই টোফু খাওয়া যায়। সয়াবিনের দুধ থেকে তৈরি টোফু অস্টিয়োপোরোসিস-এর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: নিয়মিত আঙুর খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে
দই
অনেকেরই দুধ হজম করতে সমস্যা হয়। তাদের জন্য আদর্শ বিকল্প দই। এক কাপ ফুল ফ্যাট দই থেকে প্রায় ২৮০-২৯০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম পাওয়া যায়। টক দইয়ের মধ্যে যে ল্যাক্টোব্যাসিলাস থাকে তা খাবার হজমেও সাহায্য করে।
চিয়া বীজ
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ক্যালশিয়ামে ভরপুর চিয়া হাড়ের স্বাস্থ্য মজবুত রাখতে সাহায্য করে। পানিতে ভিজিয়ে প্রতিদিনই খেতে পারেন চিয়া বীজ। তবে পরিমাণ যেন খুব বেশি না হয়।
আরো পড়ুন: সকালে খালি পেটে পানি পানের ৭ উপকারিতা
চিজ
চিজে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, ক্যালশিয়াম। এ ছাড়াও মিলবে ফসফরাস ও জিঙ্কের মতো মিনারেল। প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় চিজ় বা ছানা রাখতে পারেন৷ তবে চিজ ওজন বাড়িয়ে তোলে। তাই পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
ডাল
সয়াবিনের দানা, ছোলা ও বিভিন্ন ধরনের ডাল ক্যালসিয়ামের খুব ভাল উৎস। এক কাপ রান্না করা মুগ ডাল থেকে প্রায় ২৭০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম পাওয়া যায়।