স্মার্টফোন শিশুর যেসব স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য দায়ী
- কবিতা আক্তার
- অক্টোবর ৩১, ২০২৩
স্মার্ট ফোন মানব দেহের জন্য বেশ ক্ষতিকর। বিশেষ করে ছোট শিশুদের অনেক বেশি ক্ষতি করে যা আমাদের অনেকেরই অজানা এখনো। আমরা অনেক সময় আমাদের শিশুদের কান্না থামাতে, এক জায়গায় স্থির রাখতে বা খাবার খাওয়ানোর সময় স্মার্টফোন দিয়ে থাকে। যেটা শিশুদের একটা নেশা হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে শিশুদের স্মার্টফোন না দিলে খেতে চায় না এবং দুষ্টুমি আরো বেশি করে। কিন্তু স্মার্টফোন শিশুদের নানান ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ।
অনেক মা-বাবা আছে তাদের সন্তান স্মার্টফোন চালাতে পারে এজন্য অনেক গর্ব করে থাকে। কিন্তু এটা ভাবে না যে তাদের শিশু অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। সব বাবা-মার অনেক বেশি সচেতন হওয়া উচিত।
বলতে গেলে মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন বর্তমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ডিভাইস। আগে স্মার্ট ফোন শুধু ধনী ব্যক্তিরা ব্যবহার করতে পারতেন। তবে এখন খুব সহজলভ্য হওয়ায় প্রায় সব পেশার মানুষই এই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক স্মার্ট ফোন শিশুদের কি কি স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে-
দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া: স্মার্টফোনে রয়েছে ক্ষতিকর নীল আলো। যা চোখের অনেক বেশি ক্ষতি করে। শিশুদের চোখ অনেক স্বচ্ছ হয়ে থাকে ফলে স্মার্টফোন ব্যবহারে চোখে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। খুব কাছ থেকে স্মার্টফোনের স্ক্রিন দীর্ঘদিন দেখার ফলে অনেক শিশু দৃষ্টি শক্তি কমে যায়। তারা দূরের জিনিসপত্র দেখতে পায় না এই বয়সেই চশমা ব্যবহার করতে হয়।
আরো পড়ুন:স্মার্ট ফোন চার্জিং এর পাঁচটি ভুল ধারণা ও সঠিক তথ্য
টিউমার ও ক্যান্সার: অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টফোনে থাকার রেডিয়েশন শিশুদের টিউমার বা ক্যান্সারের জন্য দায়ী। দীর্ঘক্ষন ধরে শিশুরা স্মার্টফোন ব্যবহার করলে তাদের টিউমার ও ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। স্মার্ট ফোনের রেডিয়েশন বড়দের চেয়ে শিশুদের অনেক বেশি ক্ষতি করে। তাই বাবা-মার উচিত শিশুকে দীর্ঘক্ষন স্মার্টফোন ব্যবহার করতে না দেওয়া।
আরো পড়ুন: স্মার্টফোন ক্যামেরা প্রযুক্তি ঠিক কোন পথে হাঁটছে?
মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপে ব্যাঘাত ঘটায়: শিশুদের স্মার্ট ফোনে ব্যবহারে শিশুদের শারীরিক নানা সমস্যার পাশাপাশি মানসিক সমস্যাও দেখা যায়। যেমন শিশুর মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, কারো সঙ্গে মিশতে না পারা এর অন্যতম। শিশুর মানসিক বিকাশ ও বাধাগ্রস্ত হয় এতে।
আরো পড়ুন: আপনার ত্বকে দ্রুত বয়সের ছাপ ফেলে দিচ্ছে স্মার্টফোন!
পড়াশোনার অমনোযোগী: পড়াশোনার পাশাপাশি অনেক শিশু বিনোদনের জন্য স্মার্টফোন ব্যবহার করে। অনলাইন গেমে ডুবে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা। ফলে শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহারের বদ অভ্যাস তৈরি হয়। এটা পড়াশোনায় অনেক বেশি অমনোযোগী হয়ে পড়েন।
শারীরিক ও মানসিক সমস্যার পাশাপাশি শিশুদের আরও অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে স্মার্টফোন।