শিশুদের শাসন করার নিরাপদ কৌশল
- ওমেন্স কর্নার
- মার্চ ১৭, ২০২৪
শিশুরা মাঝেমধ্যেই অনাকাঙ্ক্ষিত বা অযাচিত আচরণ করতে পারে। এ আচরণ সংশোধনের নামে আমরা এমন কিছু আচরণ করি, যা শিশুর জীবনে বিপর্যয় নিয়ে আসে। এমনকি অনেকে বিরক্ত হয়ে শিশুদের উপর অতিরিক্ত রাগ-বকঝকা করে ফেলেন, আবার অনেকে গায়েও হাত তোলেন। তবে এমন শাসনে শিশু আরও রাগী ও জেদি হয়ে ওঠে।
অভিভাবকেরা মনে করেন, শিশুর ভালোর জন্য করছি। অথচ এই আচরণগুলো যে ভুল, তা আমরা নিজেরাই জানি না। এ কারণে সন্তানকে শাসন করার ব্যাপারে কৌশলী হতে হবে।জেনে রাখুন শিশুকে শাসনের ব্যাপারে কিছু কৌশল:
শাসনের নামে শিশুকে শারীরিকভাবে আঘাত করবেন না। শারীরিক আঘাত বা মারধর শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে এবং সমস্যাগুলোকে আরও বাড়িয়ে তোলে। বার বার একই কথা না বলা। ‘এটা করবে না’, ‘এখন হোমওয়ার্ক কর’- এই ধরনের কথা বারবার বললে সন্তানের কাছে তেমন একটা দাম থাকবে না।
আরো পড়ুন:
শিশুর যেসব আচরণে সাবধান হতে হবে আপনাকে!
শিশুকে নিয়ে বেড়াতে গেলে যা খেয়াল রাখবেন
শিশুর বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন যেভাবে
অতি আদর বা অতি শাসনে শিশুকে লালন করবেন না। আদর ও শাসনের সুন্দর সমন্বয় রাখুন। শিশু ভুল করলে সবার সামনে সমালোচনা করবেন না। যদি বলতে হয়, তবে একান্তে আড়ালে ডেকে বলুন। যখন মানসিকভাবে প্রশান্ত বা স্থির থাকে, তখন বলুন।
শিশুকে গালি দেবেন না বা নেতিবাচক মন্তব্য করবেন না। কারণ তা সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। শিশুর অবচেতন মনে এ ধরনের মন্তব্য গেঁথে যায়। একসময় দেখা যায় শিশু এ তথ্য দ্বারাই পরিচালিত হচ্ছে।
শিশুকে কোনো কিছুর ভয় দেখিয়ে সংশোধন করতে যাবেন না। এ ধরনের আচরণ শিশুর মধ্যে স্থায়ী ভীতিবোধ জাগিয়ে তুলতে পারে। মা-বাবা বা পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে সন্তানকে শাসন করবেন না। একজন শাসন করলে, অন্যরা চুপ থাকবেন।
শাসন বা আদেশ, উভয় ক্ষেত্রেই মা ও বাবা দুজনের অবস্থান এক হতে হবে। নির্দেশনা দুই রকম হলে শিশু বিভ্রান্ত হয়। কোনটি পালন করবে, তা বুঝে উঠতে পারে না। চিৎকার করে কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। সন্তানের আচরণে মাথা গরম হলে তাকে বোঝানো বা শাসনের আগে নিজের মাথা ঠান্ডা করুন। তাই তাঁকে বোঝানোর জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে।
আরো পড়ুন:
সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন!
সন্তানকে সুশিক্ষা দিন, মানুষ করে গড়ে তুলুন!
শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে যা করবেন
উচ্চ স্বরে কথা বললে শিশুর মনে বিরক্তি জাগতে পারে। এ কারণে চরম উত্তেজনার মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা রেখে শিশুর সঙ্গে গলা নামিয়ে কথা বলুন। এতে ভালো কাজ হবে। এজন্য শিশুকে বোঝাতে মিষ্টি স্বর আর আদরের ভাষার বিকল্প নেই। উত্তেজক পরিস্থিতি শেষ করতে শিশুকে কাছে ডেকে আদর করুন। ভালো ভাবে বুঝিয়ে বলুন। শিশুর কথাও শুনুন। তাহলে তার মন শান্ত হবে।