ঘুম না আসার ৫ কারণ জেনে নিন
- ওমেন্স কর্নার
- মে ২০, ২০২৪
আপনার কি মাঝে মাঝেই ঘুম না আসার সমস্যা দেখা দেয়? রাতে ঘুমাতে বা সকালে ঘুম থেকে উঠতে অসুবিধা হয়? এগুলো ইঙ্গিত দেয় যে আপনার ঘুমের সময়সূচী ঠিক নেই। ঠিকভাবে ঘুম না হলে তা দৈনন্দিন কাজকর্মকে ব্যাহত করতে পারে। শুধু তাই নয়, এটি হৃদরোগ এবং স্থূলতার মতো বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন আপনার ঘুম আসে না-
১. অনিয়মিত ঘুমের রুটিন
প্রতিদিন বিভিন্ন সময়ে বিছানায় যাওয়া এবং জেগে ওঠা আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়িকে ব্যাহত করে, যার ফলে স্বাভাবিকভাবে ঘুমানো এবং জেগে ওঠা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই নিজের জন্য একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ ঘুমের রুটিন সেট করুন এবং তা ধরে রাখুন। ২০১৯ সালের একটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ঘুমের ব্যাঘাত সাম্প্রতিক সময়ে একটি গোপন জনস্বাস্থ্য সংকট হিসাবে দেখা দিয়েছে।
২. শোবার আগে স্ক্রিন টাইম
স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং কম্পিউটারের মতো স্ক্রিন দ্বারা নির্গত নীল আলো মেলাটোনিন উৎপাদনে বাধা দিতে পারে, এই হরমোন ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ঘুমের সময় সব ধরনের গ্যাজেট দূরে রাখতে হবে। ঘুমের অন্তত দুই ঘণ্টা আগে ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাব থেকে দূরে থাকতে হবে।
আরো পড়ুন:
খাবার খাওয়ার আগে ও পরে চায়ে চুমুক দিলে কি ক্ষতি?
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
জেনে নিন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার ৭ উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খান এই ৫ খাবার
৩. ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল সেবন
ঘুমের আগে ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল গ্রহণ ঘুমকে ব্যাহত করতে পারে বা রাতে ঘন ঘন জাগিয়ে দিতে পারে। স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে, ক্যাফেইন সেবন করলে ঘুম আসতে দেরি হতে পারে এবং মোট ঘুমের সময়কাল কমে যেতে পারে। ফলস্বরূপ তার প্রভাব পড়ে পরবর্তী দিনের কাজে। তাই এ ধরনের অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিতে হবে।
৪. স্ট্রেস এবং উদ্বেগ
ক্রমাগত মানসিক চাপ বা উদ্বেগ রাতে আরও বেড়ে যেতে পারে, যা ঘুমিয়ে পড়া কঠিন করে তোলে। প্রতিকার হিসাবে আপনার প্রতিদিনের চিন্তার কারণগুলো বা করণীয় কাজগুলো লিখে রাখার অভ্যাস করুন। ২০১৭ সালে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, কাজের তালিকাটি লিখে রাখলে তা ঘুম আসা সহজ করতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত ঘুমের গুণমানকে উন্নত করে।
৫. দেরিতে ভারী খাবার খাওয়া
আপনি কি জানেন যে শোবার সময় খুব কাছাকাছি সময়ে ভারী বা মসলাদার খাবার খেলে তা আপনার ঘুমের গুণমানকেও প্রভাবিত করতে পারে? কারণ এটি অস্বস্তি এবং বদহজমের কারণ হয়, যার ফলে নিশ্চিন্তে ঘুমানো কঠিন হয়।