সিজারিয়ান সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা !
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- নভেম্বর ১, ২০১৭
বর্তমানে পৃথিবীতে মাতৃ মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে গর্ভজনিত জটিলতা। বেশির ভাগ প্রসবকালীন জটিলতার সহজ মীমাংসা হচ্ছে সিজারিয়ান সেকশন। এতে মায়ের মৃত্যুর হার অনেকটাই কমে এসেছে। সিজারিয়ান সেকশন একটি অপারেশনের নাম।
স্বাভাবিকভাবে একটি শিশু যেভাবে জন্মায় তাতে মা এবং বাচ্চা দুইজনের ঝুঁকি রয়েছে। তখন বিকল্প পথ হিসেবে শিশু প্রসব করানো হয়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বাচ্চা উদরের বিকল্প পথ দিয়ে মায়ের গর্ভ বা জরায়ু থেকে বের করে নিয়ে আসাকে সিজারিয়ান সেকশন বলা হয়। সিজারিয়ান সেকশন সম্পর্কে অনেকের কিছু ভুল ধারণা রয়েছে।
অনেকের ধারণা, একজন সিজারিয়ান নারীকে পরবর্তী সব প্রসবের সময়েই সিজারিয়ান অপারেশন করাতে হবে। কথাটি সবসময় ঠিক না। কিছু কিছু ক্ষেত্র ছাড়া সবসময়ে সিজারিয়ান করতে হয় না।
অনেকের ধারণা, সিজারিয়ান অপারেশনে দুই বারের বেশি বাচ্চা নেওয়া যায় না। এই ধারণাটিও সঠিক নয়। যত দূর জানা যায়, পৃথিবীতে একই নারীর সাত বার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসবের ইতিহাস রয়েছে। বাংলাদেশেও অনেক নারী রয়েছে, যাদের অন্তত পাঁচ বার সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার হয়েছে। বার বার সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের সফলতা কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।
একবার সিজারিয়ান অপারেশন হওয়ার পর পরবর্তী সন্তানের জন্য কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ভালো। এই সময়ের মধ্যে মায়ের শারীরিক গঠন পূর্ণতা পায়। অস্ত্রোপচারের পর অন্তত তিন মাস পূর্ণ বিশ্রামে থাকা উচিত, আর ছয় মাসে কোনো রকম ভারি কাজ করা যাবে না এতে কাটাস্থানে ফাঁক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে যায় এবং সেই ফাঁক গলে দেহগহ্ববে অবস্থিত অঙ্গসমূহ বেরিয়ে আসার সুযোগ পায় না। সন্তান প্রসববের জন্য সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারে তিনটির বেশি সন্তান না নেওয়াই ভালো। কারণ, তখন প্রসবজনিত কোনো জরুরি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে জরায়ু ফেটে যেতে পারে এবং জরায়ুর এই ফেটে যাওয়া মেরামত কোনো সহজ কাজ নয়।
অনেকে আবার মনে করেন, সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের পর শরীর মোটা হয়ে যায়। সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারে তলপেটে দাগ থেকে যাবে বলে অনেকেই এই অস্ত্রোপচারে যেতে চান না। আজকাল চামড়া সিল্ক দিয়ে সেলাই না করে ত্বকের নিচ দিয়ে বিশেষ ধরনের সুতোর সাহায্যে সেলাই দেওয়া হয়, শুকানোরপর সুতাটি টেনে বের করে আনা হয়। এ পদ্ধতিতে দাগ অনেকটা বোঝা যায় না।
তথ্য এবং ছবি : গুগল