প্যারেন্টিংয়ের ৫ টিপস জেনে নিন

  • ওমেন্স কর্নার
  • জুন ২৬, ২০২৪

বাবা-মা হওয়া নিঃসন্দেহে একটি দারুণ অভিজ্ঞতা। একই সঙ্গে এটি চ্যালেঞ্জিং এবং কঠিন দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের একটি যাত্রা। নিদ্রাহীন রাত থেকে শুরু করে সারাদিনের ক্লান্তিহীন ছোটাছুটিতে কখনও কখনও নিদারুণ চাপে পড়ে যান বাবা-মায়েরা। এর উপর শিশুর জেদ বা কান্নাকাটিতে প্রায়ই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন অভিভাবকরা। এতে বিরূপ প্রভাব পড়ে সন্তানের বিকাশে। শিশুর সঠিক বিকাশের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবেশ ভীষণ জরুরি। শান্তভাবে ধৈর্য সহকারে সন্তান সামলানোর জন্য বাবা-মায়েরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস জেনে নিন। 

  • আপনি যদি শিশুর বাবা-মা হন, তবে শান্ত থাকার প্রতিভা অর্জন করা আপনার জন্য খুব জরুরি। নিজেকে শান্ত রাখতে দিনের কিছুটা সময় মেডিটেশন করুন। জার্নাল অব চাইল্ড অ্যান্ড ফ্যামিলি স্টাডিজে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, মেডিটেশন অনুশীলন করলে পিতামাতার চাপ কমে এবং পিতামাতা-সন্তানের সম্পর্ক উন্নত হয়। দৈনন্দিন রুটিনে সহজ কিছু মেডিটেশ যেমন গভীর শ্বাস বা বডি স্ক্যান যোগ করুন। এগুলো আপনাকে কেন্দ্রীভূত থাকতে, ধৈর্য এবং সহানুভূতির সাথে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি সামলাতে সাহায্য করবে। 
আরো পড়ুন:
শিশু একদমই খেতে চায় না? এই কৌশলগুলো কাজে লাগান
শিশু সারাক্ষণ মোবাইল দেখে? চোখ ভালো রাখতে যা করবেন
শিশু দেরিতে হাঁটতে শিখলে যা করবেন
শিশুকে যে কথাগুলো কখনো বলবেন না
  • নিজের যত্ন নিন। গবেষণায় দেখা গেছে যে বাবা-মা যারা নিয়মিত নিজের যত্ন নেন, তারা এনার্জি ফিরে পান সহজে এবং শান্ত থাকতে পারেন সব পরিস্থিতে। দিনে কিছু সময়ের জন্য হাঁটা, শখের কাজ করা বা নিজেকে অল্প কিছু সময় দেওয়া বাবা-মায়ের মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য।
  • বাবা-মায়ের চাপের একটি সাধারণ উৎস হলো অবাস্তব প্রত্যাশা পূরণের চাপ, যেগুলো সামাজিক নিয়ম বা অনেক ক্ষেত্রেই স্ব-আরোপিত। জার্নাল অব ফ্যামিলি সাইকোলজিতে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, বাবা-মায়েরা যারা নিজেদের এবং তাদের সন্তানদের জন্য বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা রাখে, তারা নিজেদেরও চাপমুক্ত রাখে। সন্তান ও অভিভাবকত্ব নিয়ে তাদের সন্তুষ্টিও থাকে বেশি। অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং সন্তানের ছোট ছোট বিজয় উদযাপন করুন। একজন ভালো অভিভাবক হওয়ার মানে নিখুঁত হওয়া নয়, এর অর্থ সন্তানের কঠিন দিনেও তাকে আগলে রাখা।
  • সন্তানদের সাথে সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য খোলামেলা যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ। জার্নাল অব ম্যারেজ অ্যান্ড ফ্যামিলিতে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, যে বাবা-মা যারা ইতিবাচক যোগাযোগের কৌশল রপ্ত করতে পেরেছেন, তারা নিজেদের চাপ কমাতে পেরেছেন অনেকাংশে। জাজমেন্টাল না হয়ে সন্তানদের চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতিগুলো শুনুন। সহানুভূতির দেখান। বিশ্বাস এবং বোঝাপড়ার এই অনুভূতি আপনার ও সন্তানের মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ এবং সহায়ক যোগাযোগ তৈরি করবে।
  • অভিভাবকত্বের অর্থ একক প্রচেষ্টা নয়। প্রয়োজনের সময় বন্ধু, পরিবার বা পেশাদার কারোর কাছ থেকে সহায়তা চেয়ে নিন। জার্নাল অব চাইল্ড অ্যান্ড ফ্যামিলি স্টাডিজে প্রকাশিত গবেষণা মতে, যে বাবা-মায়েরা সন্তান বড় করতে সামাজিক ও পারিবারিক সাহায্য পান, তারা অনেকটাই চাপমুক্ত থাকেন। 
পোস্ট ক্রেডিট: বাংলা ট্রিবিউন 

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment