জাম খাওয়ার সময় যেসব নিয়ম মানা জরুরী
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- জুলাই ১২, ২০২৪
টক মিষ্টি স্বাদের ছোট ছোট কালো জাম দেখলে সবার জিভে পানি চলে আসে। শুধু স্বাদে নয় বরং জামের অনেক গুণ রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ জামের শরবত তৈরি করবেন যেভাবে
হাজারো স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে জামের। এতে ভিটামিন সি, আয়রন, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ বিভিন্ন উপাদান আছে জামে। পেটে ব্যথা, ডায়াবেটিস ও বাতের ব্যথা সারাতে জাম কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
এছাড়া এ ফল আমাশয় ও পেট ফাঁপা সহ হজমজনিত বিভিন্ন সমস্যা নিরাময় করে। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ও জাম খুবই উপকারী এক ফল। জামে ফসফরাস ও আয়োডিনের মত খনিজ গুলো একসঙ্গে থাকায় এই ফল খেলে শরীর আর্দ্র থাকে। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে জাম খাওয়া উচিত।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কেন কালোজাম খাবেন?
জামে থাকা বিভিন্ন গুনাগুন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও জামে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য, যা অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সংক্রমণ কে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। এমন কি জামে থাকা আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম এর মত প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান সমূহ যা হাড় ও দাঁত মজবুত করে।
আরো পড়ুনঃ ম্যাংগো আইসক্রিম বানানোর সহজ উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
জামে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার আছে যা লিভারকে সক্রিয় করে ও হজম ক্ষমতা বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা ও দূর করে।
তবে জাম খাওয়ার সময় কয়েকটি নিয়ম মানা জরুরী যেমন-
১. প্রতিদিন ১০০ গ্রামের বেশি জাম খাওয়া উচিত নয়।
২. জাম খাওয়ার আগে অবশ্যই তা লবণ পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
৩. খালি পেটে কখনো জাম খাবেন না।
৪. জাম খাওয়ার আগেও পরে প্রায় দু'ঘণ্টা দুধ খাবেন না।
৫. গর্ভবতী ও স্তন্যদান কারী মায়েদের জাম না খাওয়ায় ভালো।
৬. ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই জাম অল্প পরিমানে খাবেন।
৭. ফলের পাশাপাশি জামের মধু, ভিনেগার ও খেতে পারেন।
৮. এছাড়া জামের পাতা ও ছাল শুকিয়ে গুড়া করে খেলে উপকার মিলবে।