প্রথমবার মা হয়েছেন? শিশুর যত্নে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন
- ওমেন্স কর্নার
- জুলাই ১২, ২০২৪
বাবা-মা হওয়া প্রায় সবার কাছেই জীবনের সবচেয়ে আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা। এই খুশির সঙ্গে বেড়ে যায় দায়িত্বও। মা-বাবা দুজনে মিলে সন্তানের দেখাশোনা করলেও ছোট ছোট প্রতিটি বিষয়ে মাকে বাড়তি যত্ন নিতে হয়।
বিশেষ করে কেউ যদি নতুন মা হয়ে থাকেন এবং প্রথমবারের মতো এই দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন, তাহলে শিশুর যত্ন নেওয়ার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সেগুলো হলো—
চোখে কাজল লাগাবেন না
প্রায়শই বয়স্করা বলেন যে, শিশুদের চোখে কাজল লাগাতে হবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কাজল শিশুর চোখে সমস্যা তৈরি করতে পারে। আসলে কাজল লাগালে চোখের কোণে থাকা টিয়ার নালি আটকে যাওয়ার ভয় থাকে এবং এতে ধুলা-ময়লাও লেগে যেতে পারে, যা অ্যালার্জির কারণ হয়। তাই শিশুর চোখে কাজল লাগানো এড়িয়ে চলুন।
ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধু মায়ের দুধ দিন
কেউ কেউ চার-পাঁচ মাস থেকে শিশুকে পানি ও শক্ত খাবার দেওয়া শুরু করেন, যেখানে ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের দুধই শিশুর পুষ্টির জন্য যথেষ্ট। বুকের দুধ খাওয়াতে সমস্যা হলে বা দুধ উৎপাদন না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে মায়ের বিশেষ কোনো শারীরিক অসুখ থাকলে বা মায়ের দুধ শিশু হজম করতে না পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরো পড়ুন:
যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না বুঝবেন যেভাবে
সদ্য মা হওয়ার পর ওজন কমাতে যেসব খাবার খাবেন
ফার্টিলিটি বাড়াতে মেয়েরা যা খাবেন
যে টিউমার গর্ভধারণের সময় বেশি ধরা পড়ে
সব সময় ডায়াপার পরাবেন না
ছোট বাচ্চাদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয় এবং এর জন্য তাদের ডায়াপার পরানো হয়। তবে একেবারে ছোট শিশুকে বেশিক্ষণ ডায়াপার পরিয়ে রাখা উচিত নয়। এছাড়া কয়েক ঘণ্টা পর পর ডায়াপার পরিবর্তন করা জরুরি। ডায়াপারের বদলে তুলা বা সুতি বা যেকোনো নরম কাপড়ের তৈরি ন্যাপকিন পরান। একটানা ডায়াপার পরলে ত্বকে ফুসকুড়ি হতে পারে।
সাবধানে শিশুর জিনিস কিনুন
নবজাতক শিশুর ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই শ্যাম্পু, বডি ওয়াশ, বডি ম্যাসাজ অয়েল, লোশনের মতো পণ্য খুব সাবধানে কেনা উচিত। কোনটি শিশুর জন্য ঠিক হবে, সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়া পণ্যগুলো কেনার সময় মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং উপাদানগুলো পড়ে নিন। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি এমন পণ্য কেনার চেষ্টা করুন।
এই ছোট বিষয়গুলোতে যত্ন নিন
নবজাতক শিশুকে স্পর্শ করার আগে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। ঘরে যদি ছোট বাচ্চা থাকে, তবে হাত-পা ধুয়ে বাচ্চাকে কোলে নিন এবং সর্বক্ষণ নজর রাখুন। এছাড়া শিশুর যাতে ঠান্ডা না লাগে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। শিশু খুব কান্নাকাটি করলে সেটা ক্ষুধার জন্য নাকি পেটে গ্যাসের কারণে তা জানার চেষ্টা করুন। খাওয়ানোর পরে, শিশুটি তার পিঠে হালকাভাবে চাপ দিলে স্বস্তি পায়, অস্বস্তিবোধ কমে।