ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার ঘরোয়া উপায়
- ওমেন্স কর্নার
- আগস্ট ১৪, ২০২৪
সুস্থ থাকার জন্য ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। সেজন্য কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে এবং কিছু খাবার যোগ করতে হবে তালিকায়। কিছু খাবার খেলে হঠাৎ রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়া কিছু খাবার আপনাকে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। সেগুলো ঠিকভাবে খেলে মিলবে উপকার। চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করার ঘরোয়া উপায়-
১. সকালে সুষম খাবার
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ সকালের নাস্তা হতে হবে পুষ্টিকর ও সুষম। স্বাস্থ্যকর সকালের খাবার আমাদের বিপাক নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে। তাই এদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। কখনোই সকালের খাবার এড়িয়ে যাবেন না।
২. প্রোটিন এবং ফাইবার
সুষম খাবারের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, প্রোটিন এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ থাকা উচিত। যদিও কেউ কেউ কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন এড়িয়ে চলে, তারা মনে করে যে এগুলো রক্তে শর্করাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে পুরোপুরি বাদ দেওয়া চলবে না। এক্ষেত্রে পরিমিত দানাশস্য, সিরিয়াল ফাইবার, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি বেছে নিন।
আরো পড়ুন:
থাইরয়েডের স্বাভাবিক মাত্রা কত, কোন লক্ষণে সতর্ক হবেন?
মুখের যে ৩ ধরনের দুর্গন্ধ ডায়াবেটিসের ইঙ্গিত দেয়
পাইলসের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন? ঘরোয়া উপায়ে মিলবে স্বস্তি
ওষুধ ছাড়াই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের উপায়
৩. সকালে চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন
সকালে প্যাকেটজাত ফলের রস বা মিষ্টিজাতীয় খাবার অনেকেই খেয়ে থাকে, তবে এতে অতিরিক্ত চিনি থাকে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে। এগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
৪. ক্যাফেইন গ্রহণের দিকে খেয়াল রাখুন
আপনি যদি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে চান তবে সকালে কফি পান বন্ধ করুন। নিয়মিত অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ করলে তা ইনসুলিন সংবেদনশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, বিশেষ করে টাইপ ২ ডায়াবেটিসযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সেইসঙ্গে এটি ডিহাইড্রেশনেরও কারণ হতে পারে।
৫. হাইড্রেটেড থাকুন
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাইড্রেটেড থাকলে তা শুধুমাত্র আপনার শরীরকে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে না বরং রক্তে শর্করার ওঠানামা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করবে। কিডনি, স্নায়ু এবং কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের সম্ভাব্য ক্ষতি প্রতিরোধ করে এটি।