গর্ভাবস্থায় প্যারাসিটামল খাচ্ছেন? এতে বাচ্চার উপর প্রভাব পরে!
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- এপ্রিল ১৭, ২০১৮
গর্ভাবস্থায় জ্বর এলে কিংবা মাথা ও শরীর ব্যথা হলে এসিটামিনোফেন জাতীয় ওষুধ দেখা যায়। এসিটামিনোফেনের প্রচলিত নাম হলো প্যারাসিটামল। প্যারাসিটামলে সাময়িক উপশম হলেও তা গর্ভের সন্তানের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করে ফেলতে পারে। আমেরিকার গবেষকরা জানিয়েছেন গর্ভকালীন প্রথম তিনমাসে প্যারাসিটামল সেবন করলে গর্ভের কন্যা সন্তানের দেরীতে কথা শেখার সম্ভাবনা থাকে। যেসব মায়েরা প্যারাসিটামল সেবন করেননি তাদের তুলনায় এই ঝুঁকি ৬ গুন বেশি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের গবেষকদের এই গবেষণাটি চালানো হয়েছে ৭৫৪ জন অন্তঃসত্ত্বা নারীর উপর। তাদের সবাই আট থেকে তের সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাদেরকে প্রশ্ন করা হয় যে তারা কতগুলো প্যারাসিটামল সেবন করেছেন। সেই সঙ্গে তাদের মূত্র পরীক্ষা করা হয় এসিটামিনোফেনের পরিমাণ দেখার জন্য। ৩০ মাসের শিশু যদি ৫০টির কম শব্দ বলতে পারে তাহলে সেটাকে কথা শেখায় বিলম্ব হিসেবে ধরে নেয়া হয়। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে যেই নারীদের মূত্রে এসিটামিনোফেনের পরিমাণ বেশি ছিল তাদের সন্তানরা কথা শেখায় বিলম্ব করেছে। বিশেষ করে কন্যা সন্তানের ক্ষেত্রে এই প্রভাব বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
গবেষক ড. শান্না সোয়ান বলেন, ‘যেহেতু সন্তানের কথা শেখার বিলম্বের সঙ্গে এসিটামিনোফেনের সম্পর্ক পাওয়া গেছে, সেহেতু গর্ভবতী নারীদের উচিত এধরণের ওষুধ নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে সেবন করা অথবা এড়িয়ে চলা।’ গবেষণাটি ইউরোপিয়ান সাইকিয়াট্রি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এর আগেও গবেষণায় দেখা গেছে যে, এসিটামিনোফেন গর্ভের সন্তানের বুদ্ধিমত্তায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এমনকি গর্ভের কন্যা সন্তানের গর্ভধারণ ক্ষমতার উপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। প্যারাসিটামল ‘প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন ই টু’ হরমোনের উপর প্রভাব ফেলে। গর্ভের সন্তানের প্রজননতন্ত্র তৈরিতে এই হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তথ্য এবং ছবি : গুগল