গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার নানা উপকারিতা
- ফারজানা আক্তার
- এপ্রিল ২১, ২০১৮
অনেক গর্ভবতী নারীই ডায়েট করে থাকেন। গর্ভবতী নারীরা তাদের ডায়েট প্ল্যানে মিষ্টি তেঁতুল খুব সহজেই রাখতে পারেন। কারণ মিষ্টি তেঁতুলে রয়েছে নানা ধরণের পুষ্টিকর উপাদান। চলুন জেনে নিই গর্ভাবস্থায় তেঁতুল কি কি উপকার করে -
(১) তেঁতুল ভিটামিন বি৩,৪ এর একটি ভাল উৎস এবং প্রতি ১০০ গ্রামে ১.৯ মিলিগ্রামই niacin (nicotinamide)। একজন গর্ভবতী মহিলার প্রতিদিন যে পরিমান ভিটামিনের দরকার হয় তাতে ১০% এখান থেকেই হয়ে যায়। এটি আপনার গর্ভের সন্তানের স্নায়ু, মস্তিষ্ক, হজমশক্তি উন্নতিতে সহায়তা করে।
নোট : যদি আপনার ভিটামিন বি৩ এর ঘাটতি না থাকে তাহলে অতিরিক্ত ভিটামিন বি৩ গ্রহণ করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত নিয়াসিন গর্ভের বাচ্চার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
(২) ডায়েটের তালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে তেঁতুল একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে গর্ভাবস্থায় বড় সমস্যার একটি। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারে অল্পতেই পেট ভরে যায়, তাই অতিরিক্ত খাবার খেয়ে আর পেট ভর্তি করতে হয় না। যেহেতু অল্প খাবারে পেট ভর্তি হয়ে যায়, তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ও নেই।
(৩) প্রথম ট্রাইমেস্টারে সবাই মর্নিং সিকনেসের মুখোমুখি হয়। যদিও এটি ক্লান্তিকর কিন্তু মর্নিং সিকনেস সুস্থ গর্ভাবস্থার ইঙ্গিত করে। মর্নিং সিকনেসের প্রাকৃতিক সমাধান হচ্ছে তেঁতুল। এতে রয়েছে ম্যালিক এসিড, টাটারিক এসিড এবং পটাসিয়াম ৭ ।
(৪) তেঁতুল হচ্ছে আয়রন এবং মিনালেরের সবথেকে বড় উৎস। আয়রন এবং মিনারেল শরীরে রক্তের পরিমান বৃদ্ধি করে। গর্ভাবস্থায় শরীরে পর্যাপ্ত পরিমানে আয়রন থাকা খুব দরকারি কারণ পর্যাপ্ত পরিমান আয়রন অকাল জন্মের সম্ভাবনা এবং কম ওজনের শিশুর জন্মের সম্ভাবনা হ্রাস করে।
(৫) অনেক মহিলায় গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হোন। এটি মা এবং শিশুর জন্য টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং বিপাকীয় অস্বাভাবিকতার ঝুঁকি বাড়ায়। তেঁতুল শরীরে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং গর্ভকালীন ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে।
(৬) যারা গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যায় ভুগেন তাদের জন্য তেঁতুল খুবই উপকারী, কারণ তেঁতুল উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
(৭) প্রতি ১০০ গ্রাম তেঁতুলে ১১.৪৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন সি গর্ভধারণের সময় নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রদান করে। এটি শ্বাসযন্ত্র উন্নত করতে সাহায্য করে এবং চেহারায় প্রাকৃতিক গ্লো নিয়ে আসে। ভিটামিন সি এন্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিকর রেডিকেল প্রতিরোধ করে। ক্ষতিকর রেডিকেল শরীরে জমা হয়ে মা এবং শিশু উভয়ের ক্ষেত্রে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।