সিজারিয়ান হওয়ার পর পেটের মেদ কমানোর সহজ কিছু উপায়
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- এপ্রিল ২৩, ২০১৮
সন্তান জন্ম দেয়া একজন নারীর জীবনের অনেক কঠিন সময়। কিন্তু তিনি যখন নবজাতককে কোলে নেন তখন তাঁর সব কষ্ট দূর হয়ে যায়। কিন্তু গর্ভধারণের পরবর্তী ওজন এত সহজে কমে না। বিশেষ করে সিজারিয়ান হলে পেটের মেদ কমিয়ে পূর্বের অবস্থায় যেতে অনেক সময় লাগে এবং এর জন্য ইতিবাচক থাকাটা জরুরী। বেশির ভাগ নারীই তাদের এই পরিবর্তিত অবস্থা নিয়েই জীবন অতিবাহিত করেন কারণ তাঁরা বিশ্বাসই করতে পারেননা যে, এই সাময়িক পরিবর্ধিত উদর পুনরায় কমানো সম্ভব। যদি আপনি সিজারিয়ান পরবর্তী কিছু নিয়ম পালন করেন তাহলে আপনার পাকস্থলী আবার ফ্ল্যাট হতে পারে। যেকোন ধরণের পেটের মেদ কমানো খুব সহজ নয় এবং সিজারিয়ান করলে অবস্থাটা আরো বেশি কঠিন হয়ে যায় কারণ তখন স্ট্যান্ডার্ড অ্যাবডোমিনাল এক্সারসাইজ করা যায়না। তথাপি বিকল্প উপায়ে সিজারিয়ান পরবর্তী পেটের মেদ কমানো যায়। আসুন জেনে নেই সেই ধাপগুলো সম্পর্কে -
১। সি-সেকশনের পরে ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানো। বাচ্চাকে ৬ মাস শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এর সাহায্যে আপনার পেটের অনেক অতিরিক্ত মেদ কমে যাবে।
২। ডেলিভারির পরে প্রথম ছয় মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে প্রেগনেন্সি হরমোন পরিভ্রমণ করে এবং শরীরের সব চর্বি ঢিলে ঢালা থাকে। এই চর্বি ঘনীভূত হয়ে জমাট বেঁধে গেলে ওজন কমানোটা বেশ কঠিন হয়ে যায়। সাধারণ কিছু এক্সারসাইজ শুরু করুন যেমন- হাঁটা।
৩। পেটের মেদ কমাতে চাইলে আপনাকে শুধুমাত্র খাওয়া, ঘুমানো ও ওয়াশ রুমে যাওয়ার সময় ছাড়া সর্বক্ষণ পেটের বেল্ট পরে থাকতে হবে। এটা অনেক বিরক্তিকর হলেও আপনি অবশ্যই ভালো ফল পাবেন।
৪। সি-সেকশনের পরে পেটের মেদ কমানোর ভালো উপায় হচ্ছে ইয়োগা করা। প্রাণায়াম করলে পেটের মাংসপেশি দৃঢ় হয়।
৫। পানি শরীরের ফ্লুইড ব্যালেন্স রক্ষা করে। আপনি হয়তো অবাক হবেন এটা শুনে যে, পানি অন্ত্র থেকে অতিরিক্ত মেদ বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন, এতে ক্ষুধা কম লাগবে ও পেট ভরা থাকবে।
৬। বাচ্চাকে দুধ দিলে এক্সট্রা এনার্জির জন্য কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন। এছারাও প্রোটিন, ফল ও সবজি খেতে হবে। তবে ঘি, মাখন ও মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
তথ্য এবং ছবি : গুগল