কেমন হবে একজন গর্ভবতী মায়ের পরিপূর্ন সেবাযত্ন
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- নভেম্বর ১৬, ২০১৭
মায়ের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ওপর গর্ভের সন্তানের স্বাস্থ্য নির্ভর করে। এ সময় অপর্যাপ্ত খাদ্য এবং অপুষ্টি, মা ও শিশুর জন্য মারাত্মক হতে পারে। অপুষ্টিতে আক্রান্ত মায়েরা যে সন্তানের জন্ম দেয়, তাদের জন্ম ওজন কম হয়, বুদ্ধির বিকাশ ব্যাহত হয় এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকে না।
গর্ভাবস্থায় মা নিজের দেহ থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে গর্ভের শিশুকে যথাযথভাবে গড়ে তুলে। এক্ষেত্রে মায়ের দেহে যে ক্ষয় হয় তা সঠিকভাবে পূরণ করতে না পারলে মায়ের স্বাস্থ্যহানি ঘটে।
এজন্য গর্ভাবস্থায় মাকে স্বাভাবিকের তুলনায় পরিমানে বেশি খাবার খেতে হবে। আমাদের দেশে বেশির ভাগ মেয়েরা কম বয়সে গর্ভধারণ করে এবং প্রায় সবাই অপুষ্টিতে ভুগে। এর ফলে সন্তানও অপুষ্টিতে ভুগে এবং কখনও কখনও মা'রা মৃত সন্তানও প্রসব করে।
গর্ভকালীন সেবা :
- গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন ৩ বেলা খাবারের সঙ্গে নিয়মিত এক মুঠো পরিমান হলেও বেশি খাবার খেতে হবে।
- মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা, ঘন ডাল, গাঢ় সবুজ শাক-সবজি ও মৌসুমি দেশী ফল খেতে হবে। রান্নায় যথেষ্ট পরিমাণ তেল ব্যবহার করতে হবে।
- গর্ভাবস্থায় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন রাতের খাবারের পরপরই ১টি করে আয়রন ফলিক এসিড ট্যাবলেট খেতে হবে।
- গর্ভাবস্থায় ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার খেতে হবে।
- গর্ভাবস্থায় তিন মাসের পর থেকে প্রতিদিন (সকালে এবং দুপুরে) ২টি করে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট ভরা পেটে খেতে হবে।
- গর্ভাবস্থায় যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম (দুপুরে খাবারের পর ২ ঘণ্টা এবং রাতে ৮ ঘণ্টা) নিতে হবে।
- গর্ভবতী মহিলাকে শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তিতে রাখতে হবে, এতে গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধি স্বাভাবিক হবে
- ভারী কাজ (যেমন : টিউবওয়েল চাপা, ধান ভানা, ভারী জিনিস তোলা, অতিরিক্ত/ভারী কাপড় ধোয়া) থেকে বিরত থাকতে হবে এবং কষ্টকর পরিশ্রম বর্জন করতে হবে।
- আয়োডিন যুক্ত লবণ খেতে হবে
- প্রথম তিন মাসের পর প্রয়োজনে ১টি কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেতে হবে
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে
তথ্য এবং ছবি : গুগল