আপনার শিশু চোখের সমস্যায় ভুগছে? বুঝে নিন তাদের বিশেষ কিছু আচরণে!

  • তাসফিয়া আমিন
  • এপ্রিল ২৭, ২০১৮

যদি এরকম কোনো কিছু সন্দেহ হয়, তাহলে আপনার বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করুন।

বড়দের মতো শিশুদের চোখেও দৃষ্টিজনিত সমস্যা ছাড়াও অনেক অসুখবিসুখ হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই শিশুরা তাদের সমস্যাগুলো বলতে পারে না। তাই অভিভাবকের উচিত কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখা।

শিশুরা সাধারণত যে সমস্ত চোখের অসুখে ভোগে সেগুলো হলো:

*রেটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচুরিটি

*চোখ দিয়ে পানি পড়া

*চোখের পাতার রোগ

*দৃষ্টিস্বল্পতা বা প্রতিসরণজনিত ত্রুটি

*ছানিজনিত অন্ধত্ব

*ট্যারা চোখ

*জন্মগত গ্লুকোমা

*রেটিনোব্লাস্টমা

*চোখ লাল হয়ে থাকা

এছাড়া চোখে আঘাতজনিত কিছু অসুখবিসুখেও শিশুরা আক্রান্ত হয়। চোখ কিন্তু নিজে দেখে না; দেখতে সহায়তা করে কেবল। আর স্বাভাবিক চোখের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কর্নিয়া স্বচ্ছ, চোখের মনি গোলাকার ও চারিদিকে সাদা অংশ থাকবে। চোখের পাতা স্বাভাবিকভাবে খুলবে, বন্ধ হবে এবং দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক থাকবে।

আপনার শিশু চোখের সমস্যা ভুগছে কিনা সেটা বুঝতে হলে লক্ষ্য রাখুন তাদের বিশেষ কিছু আচরণে:

*ব্ল্যাকবোর্ড/হোয়াইট বোর্ডের লেখা ভালভাবে বুঝতে পারছে কিনা।

*টেলিভিশন দেখা বা বোর্ডের লেখা পড়ার সময় চোখ ছোট করছে কিনা।

*আপনার শিশু কি খুব কাছ থেকে টিভি দেখছে?

*স্বাভাবিক দূরত্বে রেখে পড়তে না পেরে বই মুখের কাছে এনে পড়ছে কিনা।

*পড়ার সময় চোখে ব্যাথা অনুভব করছে কিনা।

*বাঁকা করে বা ট্যারা চোখে তাকায় কিনা।

*আপনার শিশুর চোখের পাতায় গোটা বা অঞ্জনি আছে কি?

*মাথা ব্যথা হলেও অবহেলা নয়।

*কপাল ও চোখ কুঁচকিয়ে দেখার চেষ্টা করছে কি?

যদি এরকম কোনো কিছু সন্দেহ হয়, তাহলে আপনার বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করুন, তার দেখতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা? উত্তর যদি নেতিবাচক হয়, কালবিলম্ব না করে শিশুর চোখ পরীক্ষা করার জন্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসক তার চোখ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন।

এসব ধরণের সমস্যায় সাধারণত যথাযথ পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করলে অসুবিধাগুলো চলে যায়। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে পাওয়ারের পরিবর্তন ঘটতে পারে। তাই ছয় মাস অন্তর শিশুদের চোখ পরীক্ষা করানো উচিত। আর যারা চশমা ব্যবহার করবে তারা যেন ঘুমের সময় ছাড়া বাকি সময় তা ব্যবহার করে।

গর্ভাবস্থায় মায়ের কোনো রোগ (বিশেষত রুবেলা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে) শিশু জন্মগতভাবে ছানি রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
পিতামাতাকে শিশুর দৃষ্টিগত আচরণে মনোযোগী হতে হবে এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে। পিতামাতাকে খেয়াল রাখতে হবে টিভি দেখার সময়, পড়াশোনার সময় ও অনান্য ব্যক্তিগত ব্যবহারিক আচরণে শিশুর চোখে অস্বাভাবিকতা প্রকাশ করলেই সতর্ক হোন।

আর/এস

 

Leave a Comment