নবজাতকের ওজনহীনতায় করণীয়
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- মে ১, ২০১৮
নবজাতক শিশুর ওজন কেমন হবে এটা নিয়ে অনেকেই চিন্তা করে থাকেন। একটা শিশু জন্মের সময় ওজন যদি আড়াই কেজি (কিলোগ্রাম) এর কম হয় তাহলে ধরে নেয়া হয় শিশুটি এল,বি,ডাব্লিউ বা Low birth weight baby (LBW). এই ওজন যদি দেড় কেজিরও কম হয় তাহলে তাকে খুব কম ওজনের শিশু বা Very low birth weight (VLBW) এবং ৭৫০ গ্রামের কম ওজনের হলে চরম ওজনহীন শিশু Extreme low birth weight (ELBW) বলা হয়।
শিশুর ওজন কম হওয়ার কারণ কী?
কিশোরী মাতার সন্তানের ওজন সাধারণত খুব কম হয় এবং গর্ভে শিশু পরিণত বয়সপ্রাপ্ত হবার আগেই (Preterm) ভূমিষ্ঠ হলেও ওজন খুব কম হয়। এছাড়া গর্ভাবস্থায় মায়ের যদি ডায়াবেটিস (Diabetes), হৃদরোগ, কিডনি রোগ, পুষ্টিহীনতা, রক্তশুন্যতা, বড় কোনো ইনফেকশন, টক্সেমিয়া (Toxaemia), রক্তস্রাব বা এইধরনের জটিল কোনো রোগ থাকে তাহলে নবজাতকের ওজন কম হতে পারে। জমজ শিশু বা জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মানো শিশুদের ওজন কম হতে পারে, ধুমপায়ী মায়েদের সন্তানেরও জন্মের সময় ওজন বেশ কম থাকে।
কম ওজনের নবজাতক খুব কম সহজেই রোগাক্রান্ত হয়ে যেতে পারে তাই এসকল শিশুর ক্ষেত্রে বিশেষ যত্ন নিতে হয়। সবসময় শিশুটিকে উষ্ণ রাখতে হবে, তাপমাত্রা কমতে দেয়া যাবেনা, পরিষ্কার হাতে শিশুকে ধরতে হবে এবং শিশুর পরিধানের কাপড়ও খুব পরিস্কার রাখতে হবে। শ্বাস নিতে কোনো সমস্যা হলে সাথে সাথে মুখের ভেতরের লালা এবং নাকের সর্দি পরিষ্কার করে দিতে হবে।
শিশুর ওজন বেশ কম হলে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে শিশু বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে রাখতে হবে। সঠিক পুষ্টির জন্য মায়ের দুধের পাশাপাশি নাকে নল দিয়ে খাবার দেয়া এমনকি শিরার মাধ্যমেও খাবার দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। শিশুর তাপমাত্রা কমে গেলে তাকে ইনকিউবেটর (Incubator) এ দিতে হবে। ইনফেকশন প্রতিরোধ করার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন এনটিবায়োটিক সেই সাথে কিছু ভিটামিন এবং ফেনোবারবিটোন (Phenobarbitone) জাতীয় অসুধ ও দিয়ে থাকেন। নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে ভুমিষ্ঠ হওয়া (Preterm) শিশুর অবস্থা খুব খারাপ হলে শিশুকে এন,আই,সি,ইউ (NICU - Neonatal Intensive Care Unit) তে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া লাগতে পারে।
আর/এস