অবহেলা নয় ফোড়ার চিকিৎসায়
- তাসফিয়া আমিন
- মে ৪, ২০১৮
মানুষের শরীরে নানা কারণে ফোড়া হয়। শরীরের কোথাও ফোড়া হলে কখনো নিজে নিজে ফাটাবেন না। এতে সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে। সাবধান থাকুন। সংক্রমণের কারণে যদি শরীরের কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় পুঁজ জমা হয়, তখন একে ফোড়া বলে। ফোড়ার চারপাশের ত্বক গোলাপু বা লালচে হয়ে ওঠে। ফোড়া খুবই ব্যথাদায়ক। শরীরের বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে ত্বকের উপরিভাগে ফোড়া হয়। এ ছাড়া বগলে, কুঁচকিতে, যোনিপথের বাইরেও ফোড়া হতে দেখা যায়। মাথার ত্বক, যকৃৎ, পাকস্থলী, কিডনি, দাঁত এবং টনসিলেও ফোড়া হতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, লিউকেমিয়া, রক্তনালীর সমস্যারর যেমন পেরিফেরাল ভাসকুলার ডিজিজ, এইডস এবং স্টেরয়েড থেরাপি, কেমোথেরাপি ইত্যাদি চিকিৎসা গ্রহণকারী রোগীর শরীরে ফোড়া বেশি হতে পারে।
সাধারণ লক্ষণ ও উপসর্গ :
ফোড়া সাধারণত রঙের পিন্ডের মতো ঠেসে থাকে, স্পর্শ করলে গরম মনে হয় এবং অল্পতেই ব্যথা লাগে। ফোড়া হলে এর মাথা ফোঁটা আকারে দেখা দেয়। অনেক সময় এটা ব্রণের মতো হয় ফেটে যেতে পারে। সঠিকভাবে কাটা অথবা পরিষ্কার করতে না পারলে এর অবস্থা আরও খারাপ হয়। এমনকি আর সংক্রমণ ত্বকের ভেতরের কোষে এবং রক্তপ্রবাহে ছড়িয়ে যেতে পারে। ফোড়ার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে জ্বর, বমিবমি ভাব, বমি করা, ব্যথা এবং লাল বর্ণ হওয়া ইত্যাদি বেড়ে যেতে পারে।
চিকিৎসা :
ফোড়া কখনোই নিজেনিজে ফাটানো যাবেনা। ফোড়ার মধ্যে সুচ অথবা ধারালো কিছু দিয়ে পুঁজ বের করা যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শে সঠিক চিকিৎসা করানো হলে ফোড়া দ্রুত ভালো হয়। ফোড়া কেটে পুঁজ বের করে দিলেও তাড়াতাড়ি ভালো হয়। ফোড়া ভালো হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিদিন আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার করতে হবে।
প্রতিরোধ :
পরিষ্কার পানি ব্যবহার করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন দাঁড়ি কামানোর সময় ত্বকের কোনো অংশ কেটে না যায়। কোনো ক্ষতের সৃষ্টি হলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। ডায়াবেটিস থাকলে তা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
আর/এস