প্রসবের পরে পিরিয়ডে কোন ধরণের পরিবর্তন আসে?
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- মে ২০, ২০১৮
বাচ্চা জন্মামোর পরে নতুন মায়েদের পিরিয়ড সার্কেলে অনেক পরিবর্তন আসে। অনেকের যেমন দেরিতে পিরিয়ড শুরু হয়। আবার অনেকের অন্য় ধরনের পরিবর্তন আসে। এমনটা অনেক কারণে হয়ে থাকে। তবে এ রকম হওয়ার পিছনে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। তাই অকারণ চিন্তা করবেন না। প্রসবের আগে ও পরে মায়ের শরীরে অনেক পরিবর্তন আসে। যার প্রভাবে অনেক কিছু বদলে যেতে শুরু করে। তারই একটি হল পিরিয়োড সার্কেল। এই সময় অনেক মায়ের লাল রঙের ভেজাইনাল ডিসচার্জ হয়, যাকে অনেকে পিরিয়োড ভেবে ভুল করেন। আসলে এটা রক্ত আর মিউকাস। পিরিয়ডের এমনই কিছু রদ-বদল সম্পর্কে আপনাদের সচেতন করা হল এই লেখায় -
১। প্রসবের পর কোনও নিয়ম না মেনে যে কোনও সময় পিরিয়োড শুরু হয়ে যেতে পারে। এমনকি প্রথম পিরিয়ড, বাচ্চা জন্মানোর ৬-৭ সপ্তাহ পরেই হতে পারে। এমনটা হলে চিন্তা করবেন না।
২। অনিয়মিত পিরিয়ডের পাশাপাশি আরেকটি ঘটনা ঘটতে পারে। তা হল পিরিয়ডের সময় অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ। এমনটা হলে ভয় পাবেন না। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতেই পারেন। তবে এটা খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা।
৩। যদি মান্থলি সার্কেল বা পিরিয়ডের সময়কাল ছোট হয়ে যায় অথবা লম্বা হয়ে যায়, তাহলেও চিন্তা করার কেনাও কারণ নেই।
৪। কারও কারও পিরিয়ডের সময় খুব যন্ত্রণা হতে পারে। সেই সঙ্গে মাথা ঘোরা, অস্বাভাবিক ঘাম এবং খিটখিটে হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিলে অযথা ভয় পাবেন না। প্রসবের পরে এমনটা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
৫। ব্রেস্টফিডিং চলাকালীন পিরিয়ড পিছিয়ে যেতে পারে। তবে একবার ব্রেস্টফিডিং-এক সময়কাল পেরিয়ে গেলে এমনসব অসুবিধা ধীরে ধীরে কমে যেতে শরু করে।
৬। প্রসব পরবর্তি সময়ে মায়ের হরমোনাল চেঞ্জ এবং ব্রস্ট ফিডিং-এর কারণে পিরিয়ডের সময়কাল বদলে যায়।
৭। ব্রেস্টফিডিংয়ের সময়ে মায়ের শরীরে প্রলেকটিন নামে এক ধরনের হরমোনের ক্ষরিত হয়, যে কারণও অনেক সময় পিরিয়ড সার্কেলে নানা পরিবর্তন আসে। তবে কিছু সময়ের পর থেকেই সব স্বাভাবিক হতে শুরু করে দেয়।
সূত্র : গুগল