
বাচ্চাকে খাওয়ানোর কিছু কার্যকরী কৌশল
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- নভেম্বর ২১, ২০১৭
আপনি অনেক যত্ন করে এবং ভালোবেসে বাচ্চার জন্য একটা খাবার তৈরী করেন। কিন্ত খাওয়ানোর সময় বাচ্চা মুখ ফিরিয়ে রাখে খেতে চায় না। আপনি হয়তো বাচ্চাকে অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে সেই খাবারটি খাওয়াতে চান কিন্ত সফল হতে পারেন না। জেনে নিন বাচ্চাদের খাওয়ানোর কিছু কৌশল।
ছুটির দিন:
ছুটির দিনে বাচ্চাকে সাথে নিয়ে চলে যান সবজি বাজারে। তাকে জিজ্ঞেস করুন সে কোন সবজিটি চায়। আপনি তাকে প্রতিটি সবজি সম্পর্কে বর্ণনা করুন এবং সে যে সবজি বা ফল চায় সেটি কিনে আনুন। সবজি বা ফলটির গুনাগুন সম্পর্কে বাচ্চাকে বলতে ভুলবেন না। বাচ্চার পছন্দের সবজিটি বাসায় এনে তাকে রান্না করে দিন।
শিক্ষার অংশ :
আপনার বাচ্চা যদি একটু বড় হয় তাহলে তাকে শিক্ষার মাধ্যমে খাদ্যের রং, জমিন, আকৃতি এবং খাদ্য গুলো কোথায় জন্মে তা সম্পর্কে ধারণা দিন। আরেকটু বড় হলে তাকে নিয়ে কোনো একটা রেসিপি রাঁধতে বসে যান। খাওয়ার সময় বাচ্চার প্রশংসা করুন। দেখবেন সে অনায়াসে সবজি খেয়ে যাচ্ছে।
রং বেরংয়ের খাবার :
ছোট বাচ্চা, যাদের ৬মাস-১বছর বয়স তাদের জন্য খাবার খাওানোর ধরন একটু ভিন্ন হলেও ব্যাপারটা কিন্তু একই। আপনার শিশু কে রং বেরংয়ের খাবার সামনে এনে দিন। বাচ্চারা এই সময়ে রঙ এর প্রতি আকর্ষণ বোধ করে। তাই বাচ্চার সামনে কয়েক রঙ এর খাবার ফেলে রাখুন। তবে তাকে জোর করবেন না। দেখবেন কোনও না কোনও টাতে বাচ্চা মুখ দিবেই।
অনুকরণ প্রিয় :
বাচ্চারা অনুকরণ প্রিয়। তাই তাদের কে খাওয়াতে হলে আগে নিজেকে খেয়ে দেখাতে হবে। বাচ্চা আপনাকে অনুকরণ করবে।
সুস্বাদু খাবার :
খাবার যেন সুস্বাদু হয়, একটু মিষ্টি খাবার শিশুরা পছন্দ করে। খাবার বাচ্চা কে দেয়ার আগে নিজে চেখে দেখুন। খাবারের সময় মজার গল্প শুনাতে ভুলবেন না একদম ।
একই খাবার :
শিশু কে সব সময় একই খাবার দিবেন না, এতে করে বাচ্চার খাবারে একঘেয়েমি চলে আসে। তবে বেশি ছোট বাচ্চার জন্য একটি খাবার ২-৩ দিন খাওয়ান।
সবকিছুর পরও অনেক বাচ্চা কিছুই খায় না, তাদের কে বলছি-অনেক সময় বাচ্চার পেটে কৃমি হলে তারা খেতে চায় না, বমি করে। তাই সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাছাড়া এমন সব খাবার বাচ্চাকে দিন যা তার জন্য যেমন পুষ্টি গুণ সম্পন্ন তেমনি মজাদার, তেমনি বাড়ন্ত শিশুদের প্রয়োজনীয়।
মাছ :
অনেক বাচ্চারা মাছ খেতে চায় না, কিন্তু একই বাচ্চাকে ফিশ কাটলেট করে দিন ঠিকই পছন্দ করে খাবে। আপনার পছন্দের খাবার টি তার পছন্দ মত চেহারা দিয়ে দিন। ফিশ কাটলেট, চিংড়ি দিয়ে নুডুলস ইতাদি তৈরি করে দিন।
ডিম ঃ
বাচ্চা ডিম খায় না। ঠিক আছে, তার সুজির সাথে ডিম টা মিলিয়ে দিন। বাচ্চা বুঝবেও না। খিচুরির সাথে মিশিয়ে দিন। একটু বড় বাচ্চাদের কে স্যান্ডউইচ বানিয়ে দিতে পারেন, কিংবা ডিম চপ। খাবার ভিন্ন ভাবে পরিবেশন করুন।
সবজিঃ
সবচেয়ে বড় সমস্যা সবজি নিয়ে। আসলে এই ১ টা জিনিসের আসলে কোন স্বাদ নেই। বাচ্চা কেনই বা খাবে? নুডুলস এর সাথে দিন, পাকোড়া বানিয়ে দিন, সবজি রোল বানিয়ে দিতে পারেন। কোনও ১ টা খাবার তো নিশ্চয়ই পছন্দ করবে। সাথে চিজ মিলিয়ে দিলে তো সোনায় সোহাগা।
তথ্য এবং ছবি : গুগল