গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া কতটা নিরাপদ?
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- নভেম্বর ২৬, ২০১৭
গর্ভাবস্থায় খাবার দাবার নিয়ে চলে নানা গঞ্জনা ! কোন খাবার নিরাপদ আর কোন খাবার ক্ষতিকর এসব নিয়ে হবু মা'রা একটু কনফিউসড থাকে।
কোন খাবার নিরাপদ, কোনটা ক্ষতিকর- এসব নিয়ে অনেক দ্বিধা কাজ করে। এরকম একটি খাবার তেঁতুল। গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া কতটা নিরাপদ- এ নিয়েই আজকের লেখা।
তেঁতুল আমাদের উপমহাদেশে একটি সুপরিচিত ফল। এই ফল অনেকেরই প্রিয় ফলের তালিকায় আছে। বিশেষ করে তেঁতুল মেয়েদের খুব প্রিয় একটি খাবারের নাম। গর্ভাবস্থায় নারীরা সাধারণত তেঁতুল খেতে পছন্দ করেন। চিকিৎসাগত দিক থেকেও রয়েছে এর উপকারিতা। তেঁতুলের টক উপাদান গর্ভবতী নারীদের মর্নিং সিকনেস থেকে অনেকটাই মুক্তি দেয়।
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া নিরাপদ বলেই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তবে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে তেঁতুল খাওয়া উচিত। পরিমাণ বেড়ে গেলে সাইড ইফেক্টে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা-
১. তেঁতুল ভিটামিন ‘সি’ এর খুব ভালো উৎস। এই ভিটামিন ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
২. তেঁতুলে অনেক ধরনের এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে। শরীরে দ্রুত ফ্রি রেডিক্যাল ফর্মেশনে বাঁধা দেয় এইসব অক্সিডেন্ট।
৩. ডায়াবেটিসজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে তেঁতুল।
৪. তেঁতুলে নির্দিষ্ট কিছু প্রোটিন থাকে। এইসব প্রোটিন গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
৫. গর্ভাবস্থায় অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে ব্লাড প্রেসার। তেঁতুলের পটাশিয়াম এবং আয়রন ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
তেঁতুল, শরীরে অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধের কাজে বাঁধা তৈরি করে থাকে। তাই তেঁতুল খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে খাওয়া উচিত।
ছোটখাটো সতর্কতা অবলম্বন করে তেঁতুল খেলে সেটা গর্ভাবস্থায় নিরাপদ খাবার হিসেবেই গণ্য হয়। তবে মনে রাখবেন, আপনার খাদ্য তালিকায় তেঁতুল রাখার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিতে একদম ভুলবেন না।
তথ্য এবং ছবি : গুগল