চোখে অ্যালার্জি হলে করণীয়
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- জুলাই ৭, ২০১৮
চোখের অ্যালার্জি খুবই সাধারণ অসুখ, তবে ছোঁয়াচে নয়। অ্যালার্জিজনিত সমস্যা সাধারণত নির্মূল করা যায় না। তবে প্রতিরোধ করা যায়। কাজটা কিছুটা কঠিন যদিও। শরীরের এক ধরনের প্রতিরোধব্যবস্থার কারণেই অ্যালার্জি হয়। কোনো জিনিসের প্রতি শরীরের অতি সংবেদনশীলতা থাকলে ওই বস্তু বা জিনিস শরীরের সংস্পর্শে এলেই অতিদ্রুত লাল হয়ে যায়, চুলকায়, ফুলে যায়, পানি পড়ে ইত্যাদি। যখন অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী বস্তু চোখের সংস্পর্শে আসে তখন চোখেও একই প্রতিক্রিয়া হয়। একে চোখের অ্যালার্জি বা কনজাংটিভাইটিস বলা হয়।
অ্যালার্জি হলে চোখ চুলকায়, লাল হয়ে যায়, কখনো জ্বালা করে। অনেক সময় চোখ দিয়ে পানি পড়ে। এর সঙ্গে থাকতে পারে হাঁচি, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি উপসর্গও। বাইরের ধুলাবালি, ধোঁয়া, উড়ন্ত ময়লা, ফুলের রেণু ইত্যাদি থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। আবার ঘরে কার্পেট বা পর্দার ধুলো, পোষা প্রাণীর লোম ইত্যাদি থেকেও অ্যালার্জি হয়। এমনকি অনেকের প্রসাধনী বা পারফিউম থেকেও চোখ লাল হয়ে যেতে পারে। সবার অ্যালার্জি সমস্যা হয় না। যাদের অন্যান্য অ্যালার্জির ইতিহাস আছে, যেমন ঘন ঘন সর্দি বা নাক বন্ধ, হাঁপানি বা ত্বকে অ্যালার্জি; বা যাদের পরিবারের কারও এ ধরনের সমস্যা আছে, তাদেরই ঝুঁকি বেশি।
চোখে বারবার অ্যালার্জি হলে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। যেমন ঘরের কার্পেট সরিয়ে দিন, ধুলাবালি ঝাড়া-মোছা থেকে বিরত থাকুন। পোষা প্রাণী থেকে দূরে থাকুন। কোনো প্রসাধনী দায়ী হলে তা ব্যবহার করা বাদ দিন। চোখের লেন্সও কখনো কখনো অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তা-ও বর্জন করতে হবে। বাইরে বেরোনোর সময় চোখে সানগ্লাস পরুন। হাঁচি-কাশি হলে চোখে হাত দেওয়ার আগে অবশ্যই হাত ধোবেন।
আর/এস