গুলেন ব্যারি সিনড্রোম, কারণ ও করণীয়
- রেজবুল ইসলাম
- জুলাই ৮, ২০১৮
গুলেন ব্যারি সিনড্রোম এর সংক্ষিপ্ত নাম জিবিএস। এই রোগটি হয়তো অনেকের কাছে অপরিচিত তবে রোগটির প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশে কম নয়। গুলেন-ব্যারি সিনড্রোম সাধারণত শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশন বা ডায়রিয়ায় আক্রান্তের পর ১-৪ সপ্তাহের মধ্যে দেখা দেয়। তবে সব ধরনের শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশন বা ডায়রিয়ায় এটি হয় না। যেকোনো বয়সের শিশু-কিশোর বা নারী-পুরুষের এ রোগ হতে পারে। এতে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থেকে শুরু করে সারা শরীরে দুর্বলতা দেখা দিতে পারে এবং একপর্যায়ে নড়াচড়ার সামর্থ্যও হারিয়ে যেতে পারে।
রোগের কারণঃ
জিবিএসের মূল কারণ জীবাণু হলেও প্রকৃতপক্ষে জীবাণু-প্রতিরোধী ইমিউন সিস্টেমের অস্বাভাবিক আচরণের ফলে এই রোগের উৎপত্তি হয়। ‘ক্যাম্পাইলো ব্যাকটর জেজুনি’ জীবাণুতে আক্রান্ত ডায়রিয়া রোগী বা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত সর্দি-জ্বরের রোগীরা পরবর্তী পর্যায়ে জিবিএসে আক্রান্ত হয়। কখনো কখনো ভ্যাকসিন দেওয়ার পরেও জিবিএস হতে পারে।
করণীয়ঃ
জিবিএসের ক্ষেত্রে সাধারণত প্রায় ৮০ শতাংশ রোগী সম্পূর্ণ সেরে ওঠে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগী মারাও যেতে পারে। জিবিএস রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া উচিত। এই রোগের নির্দিষ্ট চিকিৎসা হলো প্লাজমাফেরোসিস বা শিরায় ইমিউনোগ্লোবিউলিন ইনজেকশন। উপসর্গ দেখা দেওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে এ চিকিৎসা দিতে হয়। নয়তো এরপর ইমিউনোগ্লোবিউলিনের কার্যকারিতা থাকে না। নিয়মিত হাত-পায়ের ব্যায়াম করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে রোগী দ্রুত সেরে উঠতে পারে। কোনো কোনো রোগীর পুরোপুরি আরোগ্য পেতে প্রায় এক বছর লেগে যেতে পারে।
আর/এস