বারবার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে? জানুন সমাধান
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- জুলাই ১৪, ২০১৮
প্রত্যেক বিবাহিত নারী সন্তানের মুখ দেখতে চান। কারও গর্ভে সন্তান একেবারেই আসে না, আবার কারও গর্ভে সন্তান এলেও তা নষ্ট হয়ে যায়। বার বার গর্ভের সন্তান নষ্ট হলে মায়ের মনে হতাশা নেমে আসে। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই বেশিরভাগ সন্তান নষ্ট হয়ে থাকে।
গর্ভের সন্তান ৬০ থেকে ৭০ ভাগ জেনেটিক বা জন্মগত ত্রুটির কারণে নষ্ট হয়ে থাকে। অন্যান্য কারণের মধ্যে জরায়ুর গঠনগত ত্রুটি, একাধিকবার এমআর-ডিএন্ডসি করার কারণে জরায়ুমুখের সিথিলতা, জরায়ুতে টিউমার, গর্ভাবস্থায় ইনফেকশন, গর্ভফুলের ত্রুটি, ডায়াবেটিস, থায়রয়েড সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, দীর্ঘমেয়াদি অসুখ, ধূমপান, মদপান, নিষিদ্ধ ওষুধ, অত্যধিক কফি পান, হরমোনের তারতম্য, ভেজাল খাদ্য ও প্রসাধনী, পরিবেশ দূষণ, স্বামী-স্ত্রীর ডিএনএ ত্রুটি ইত্যাদি। স্বামী-স্ত্রীর একই রক্তের গ্রুপ কখনোই বাচ্চা নষ্ট হওয়ার কারণ, বন্ধ্যত্ব বা গর্ভাবস্থায় জটিলতার জন্য দায়ী নয়।
এই সময় কি কি পরীক্ষা করতে হবে?
প্রজননতন্ত্রের আল্ট্রাসনোগ্রাফি, হিসটেরোসকপি করে জরায়ু ও জরায়ুমুখের গঠনগত ত্রুটি জানা যায়। বিভিন্ন প্রকার রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মায়ের শরীরে সন্তান নষ্ট হওয়ার কারণগুলো চিহ্নিত করা যায়। স্বামী-স্ত্রীর ডিএনএজনিত কোনো ত্রুটি আছে কিনা তাও নির্ণয় করা যায়।
বারবার সন্তান নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিলে বেশিরভাগ মা সন্তান লাভে সফল হতে পারেন। সন্তান নেওয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুব জরুরি।
তথ্য এবং ছবি : গুগল