অ্যাপেনডিসাইটিস কী? এ রোগের লক্ষণ জেনে নিন
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- আগস্ট ১২, ২০১৮
মানব দেহের পরিপাকতন্ত্রের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদ্রান্ত্র। বৃহদান্ত্রের সিকামের নিচে সংযুক্ত আঙ্গুল আকারের একমুখী থলের মতো অংশটিই হলো অ্যাপেনডিক্স। রোগ প্রতিরোধে এর ভূমিকা আছে বলে ধারণা করা হয়।অ্যাপেনডিক্স অঙ্গটি জীবাণু দ্বারা সংক্রামিত হলে ফাঁপা থলের মতো অংশটি ফুলে গিয়ে পেটে ব্যথার সৃষ্টি করে। আবার ফিকুলিথ বা শক্ত মলের টুকরা, কোন কৃমি বা খাদ্য বস্তুর সাথে গিলে ফেলা হাড়ের কুচি বা হজম না হওয়া খাদ্যের অংশ কোনভাবে যদি এপেনডিক্সের ভেতরে ঢুকে যায় এবং এপেনডিক্সের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। তখন পেটে তীব্র ব্যথার সৃষ্টি হয়। এ সময় যে রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায় তাকে বলা হয় এপেনডিসাইটিস। তবে মনে রাখবেন পেটে তীব্র ব্যথা হলেই ভয় পেয়ে যাবেন না যে, আপনি এপেনডিসাইটিসে আক্রান্ত। নানা কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে। আর এপেনডিসাইটিসের ব্যথার আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা প্রাথমিকভাবে বুঝা যায়।
রোগের লক্ষণ :
হঠাৎ পেটের নাভীর চারদিকে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। এ ব্যথা নাভীর উপরি ভাগে বা নিচ পেটের ডানদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এমন হতে পারে যে, ব্যথাটা মাঝে মধ্যে হবে, তারপর চলে যাবে। তারপর সব সময় থাকবে এবং ধীরে ধীরে তলপেটের বামদিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
- ব্যথার সাথে ২/৩ বার বমিও হতে পারে।
- ৫/৬ ঘণ্টা পরে ব্যথা পেটের ডান পার্শ্বে নিচের দিকে সীমাবদ্ধ থাকে।
- অল্প অল্প জ্বর হয় এবং রোগী ঘামতে থাকে।
- রোগীর পেটের নাভীর ডানদিকে নিচের দিকে চাপ দিলে ব্যথা বেড়ে যায়।
- রোগী ভয়ে পেটে হাত ছুতে দেয় না। হাচি কাশি দিয়ে নাভীর ডান পাশে ব্যথা হয়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য এবং কিছুক্ষেত্রে ডায়রিয়া হতে পারে।
আর/এস