বাড়িতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার কিছু টিপস
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- আগস্ট ১৩, ২০১৮
মাসিক বন্ধ হলে প্রথমে যেটা মাথায় আসে তা হলো প্রেগনেন্সি টেস্ট করানোর কথা। বাড়িতে বসেই আজকাল সবাই টেস্ট করিয়ে নেয়। একেক টেস্ট কিটে একেক উপায় ফলাফল দেওয়া হতে পারে। হয়তো যোগ বা বিয়োগ চিহ্ন দেওয়া হতে পারে, একটি বা দুইটি লাইন আসতে পারে, রং পাল্টাতে পারে অথবা লেখা উঠতে পারে “প্রেগনেন্ট’ বা ‘নট প্রেগনেন্ট”।
অনেক সময়ে দেখা যায় পিরিয়ড মিস করার পর পরই টেস্ট করার ফলে শরীরে hCG এর মাত্রা এতই কম যে তা টেস্টে ধরা পড়েনি। ফলে টেস্ট নেগেটিভ দেখাতে পারে যদিও আসলে তিনি গর্ভবতী। কিছু কিছু ওষুধও এই টেস্টের ভুল রেজাল্টের কারণ হতে পারে। তবে সাধারণ ওষুধ যেমন বার্থ কনট্রোল পিল, পেইনকিলার বা অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে ফলাফলে তারতম্য আসে না।
ডাক্তারের কাছে গিয়ে আবারো মুত্রের নমুনার মাধ্যমে টেস্ট করা হতে পারে। যদি বেশিদিন ধরে তিনি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে আলট্রাসাউন্ড স্ক্যানও করা হতে পারে। ডাক্তারের কাছে করা টেস্ট সাধারণত বাসায় করা টেস্টের চাইতে বেশী নিখুঁত ফলাফল দেয়।
বাড়িতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার কিছু টিপস
- প্রেগনেন্সি কিটের প্যাকেজে থাকা নির্দেশনা ভালো করে পড়ুন এবং সঠিকভাবে অনুসরণ করুন।
- সকাল বেলায় প্রথমবার মূত্রত্যাগের সময়ে এই টেস্ট করুন।
- পুনরায় টেস্ট করা দরকার হতে পারে। আপনি যদি মনে করেন আপনি গর্ভবতী কিন্তু টেস্ট রেজাল্ট নেগেটিভ আসে, তাহলে কয়েক দিন বা সপ্তাহখানেক পর আবার টেস্ট করুন।
- পিরিয়ড মিস করার পর পরই যদি টেস্ট করেন তাহলে ভুল রেজাল্ট পাবার সম্ভাবনা থাকে কারণ শরীর তখনো যথেষ্ট hCG উৎপাদন করে ওঠে না।
আর/এস