আপনার শিশুর অ্যাজমা রোগের কারণ ও প্রতিকার
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- নভেম্বর ২৯, ২০১৭
আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে সাথে শিশুদের বাড়তি যত্ন নেয়া প্রয়োজন। এ সময় শিশুরা নানা রোগের ঝুঁকিতে থাকে। যেসব শিশুদের অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে ,ঠান্ডা আবহাওয়াতে তার প্রকোপ আরো বেড়ে যায়। এ নিয়েই থাকছে আজকের লেখা -
হাঁপানি শব্দটির সাথে কমবেশি সকলেই পরিচিত। গ্রীক শব্দ Asthma থেকে বাংলায় হাঁপানি। যার অর্থ হাঁপান বা হাঁ করে শ্বাস নেয়া। সামান্য একটু ঠান্ডা লাগা থেকেই বেড়ে যেতে পারে অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগ। তাই এটাকে হালকা ভাবে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। মূলত আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণেই এইসব রোগ ছড়াতে থাকে এবং হাঁপানি বাড়িয়ে দেয়। অ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হলে সাধারণত নিচের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়-
(১) শ্বাস কষ্ট হওয়া
(২) শ্বাস নেয়ার সময় সাঁ সাঁ জাতীয় শব্দ হওয়া
(৩) কাশি
(৪) দম বন্ধ লাগা
অ্যাজমার বা হাঁপানি রোগের কারণ-
(১) শ্বাসনালির চার পাশের মাংসপেশি সংকুচিত হয়, ফলে বাতাস চলার পথ সরু হয়ে যায়।
(২) বিভিন্ন রোগজীবাণুর সংক্রমণে শ্বাসনালির ভেতরের স্তরে প্রদাহ হওয়া বা ফুলে ওঠা।
(৩) দূষিত বাতাস গ্রহণের ফলেও দিন দিন শিশুদের মধ্যে হাঁপানির প্রকোপ বেড়ে চলছে।
অ্যাজমা সাধারণত বংশগত রোগ। তবে আবহাওয়ার পরিবর্তন, বাড়িঘরের ধুলা-ময়লা, উৎকট গন্ধ বা স্প্রে, সিগারেট বা অন্যান্য ধোঁয়া ইত্যাদি কারণে এই রোগ বাড়তে পারে। অ্যাজমা রোগের প্রতিকার হিসেবে নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে হবে।
(১) অ্যাজমা আক্রান্ত শিশুর বাবা মা’র ধূমপান করা উচিত নয়।
(২) অ্যাজমা সর্দি, কাশির মত ছোঁয়াচে রোগ নয়। শিশুর অ্যাজমা হলেও মায়ের বুকের দুধ খেতে কোন বাঁধা নেই। এই রোগ একজন থেকে অন্যজনে ছড়াবে না।
(৩) শিশুকে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং ধুলাবালি থেকে দূরে রাখুন।
(৪) শিশুকে পুরোনো কাপড় পরানো উচিত নয়। কারণ পুরোনো কাপড়ে ধুলা ময়লা লেগে থাকে। তাই শিশুকে সব সময় পরিষ্কার কাপড় পরানো উচিত।
(৫) শিশুকে সাধারণ ব্যায়াম করানোর অভ্যাস করান। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
তথ্য এবং ছবি : গুগল