গর্ভাবস্থায় অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠা
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- আগস্ট ৩০, ২০১৮
বেশিরভাগ গর্ভকালীন সময়ে দম ফুরিয়ে আসে বা শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। প্রথম থেকে তিন মাসে এমন অনুভূতি শুরু হতে পারে। এর মূল কারণ, দেহে একটি শিশুকে ধারণ করার জন্য মায়ের শারীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়াগুলোর নতুনভাবে অভিযোজন। গর্ভাবস্থায় ফুসফুসের ধারণক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পাঁজরের খাঁচার আয়তন বৃদ্ধি পায়। এ সময় অক্সিজেনের চাহিদা প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে যায়।
প্রজেস্টেরন হরমোন রক্তে অক্সিজেনের শোষণক্ষমতার এই চাহিদা পূরণের চেষ্টা করে। রক্তে কার্বন ডাই-অক্সাইডের প্রতি গর্ভবতী নারী অতি সংবেদনশীল হয়ে ওঠেন। আসলে গর্ভবতী মায়েরা আগের মতো একই হারে শ্বাসপ্রশ্বাস নিলেও তা একটু গভীরভাবে শ্বাস নেন। তখন মনে হয় শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। এতে ভয়ের কিছু নেই, এটাই স্বাভাবিক।
তিন মাস পর গর্ভস্থ শিশু বড় হতে থাকলে ক্রমবর্ধমান জরায়ু বুকের মধ্যচ্ছেদাকে চাপ দেয় ও এটি আবার ফুসফুসকে চাপ দিতে থাকে। ফলে তারা দ্রুত হাঁপিয়ে ওঠেন। সামান্য সিঁড়ি ভাঙলে বা হাঁটাহাঁটি করলে হাঁপরের মতো ওঠানামা করে বুক। এটাও স্বাভাবিক ব্যাপার, ভয় পাবেন না।
গর্ভাবস্থায় এই হাঁসফাঁস অবস্থা বা শ্বাসকষ্ট থেকে আরাম পেতে হলে আপনি কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন।
গর্ভবতী মায়েরা একটু গভীরভাবে শ্বাস নেন। তখন মনে হয় শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। এতে ভয়ের কিছু নেই, এটাই স্বাভাবিক।
- পিঠ ও কাঁধ সোজা করে বসবেন। এতে ফুসফুস যথেষ্ট প্রসারিত হওয়ার সুযোগ পাবে
- রাতে শোয়ার সময় বাড়তি বালিশ ব্যবহার করে মাথার দিকটা একটু উঁচু করে নিতে পারেন
- একটু পরিশ্রমে হাঁপিয়ে উঠলে হাত দুটো ওপরের দিকে উঁচু করে মেলে
- গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে এই সমস্যা বাড়ে। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন। ১০ থেকে ১২ কেজি ওজন বাড়াটাই স্বাভাবিক, খুব বেশি নয়
- শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, যোগব্যায়াম ইত্যাদি করলে সুফল পাবেন
আর/এস