বাবুর নাকে পানি পড়া বন্ধ হচ্ছে না, কী করতে পারি?
- তাসফিয়া আমিন
- সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৮
প্রশ্নঃ আমার বাবুর বয়স ১৪ মাস। ওর ৬-৭ দিন ধরে নাক দিয়ে পানি ঝরছে সাথে অল্প কাশি আছে। কিন্তু ঔষধ খেয়েও সুস্থ হচ্ছেনা। কি করতে পারি?
উত্তরঃ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব সর্দি-কাশি ভাইরাসের আক্রমণের কারণে বা অ্যালার্জির কারণে হয় এবং এক সপ্তাহের মাথায় সেরে যায়। বর্তমানে ছোট্ট শিশু ও নবজাতকদের এ ধরনের সমস্যায় কোনো ওষুধ বা চিকিৎসার চেয়ে সাধারণ যত্নের দিকেই জোর দেওয়া উচিত।
এরজন্য -আধা কাপ কুসুম গরম পানিতে চা-চামচের ৪ ভাগের ১ ভাগ লবণ গুলে স্যালাইন ড্রপ তৈরি করুন। বাজারে স্যালাইন নাকের ড্রপ কিনতেও পাওয়া যায়। -একটা তোয়ালে বা কাপড় রোল করে শিশুর মাথার নিচে দিয়ে তাকে চিত করে শোয়ান। এবার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট পর পর দুই বা তিন ফোঁটা ড্রপ দিয়ে নাক পরিষ্কার করে দিন। -ড্রপ দেওয়ার পর কাত করে শুইয়ে দিয়ে তরল সর্দি বেয়ে পড়তে দিন, টিস্যু দিয়ে মুছে দিন। কটন বাড নাকের ভেতর ঢোকাবেন না।
শিশুকে সর্দি- কাশির জন্য কুসুম গরম পানিতে মধু, আদার রস বা তুলসী পাতার রস, লেবু দিয়ে গরম পানি বা চা ইত্যাদি দিতে পারেন। এগুলো কফ তরল করতে সাহায্য করবে।
সর্দি-কাশি বা অরুচির জন্য শিশু একবারে বেশি খেতে পারে না, তাই বারবার খাবার দিন। পানিশূন্যতা রোধে তরল খাবার বেশি দিন। ভিটামিন সি-যুক্ত ফল, যেমন: লেবু, কমলা, মালটা, আমলকী ইত্যাদি উপকারী। আপনার বাবুর যেন গরমে ঘেমে ঠান্ডা না লাগতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
কখন সতর্ক হতে হবে :- সাধারণ যত্ন ও পুষ্টি বজায় রাখলে এই সমস্যা সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেরে যাওয়ার কথা। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এটি জটিলও হয়ে যেতে পারে। লক্ষ রাখুন কয়েকটি বিষয়। যদি শিশু ঘন ঘন শ্বাস নিতে থাকে, নিঃশ্বাসের সঙ্গে পাঁজর ভেতর দিকে দেবে যায়, শিশু খাওয়া বন্ধ করে দেয় ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে, খিঁচুনি হয় বা জ্বর অনেক বেড়ে যায় বা দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে অবশ্যই নিকটস্থ হাসপাতালে বা ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
আর/এস