প্রতিদিন একটি ডিম শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, রোজ একটি ডিম খেলে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুরা দ্রুত লম্বা হয়। ইকুয়েডরের গবেষকরা প্রায় ৬ মাসের গবেষণার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।
বিবিসির খবরে গবেষকদের বরাতে বলা হয়েছে, ডিম সিদ্ধ, মামলেট বা ওমলেট করে খেলে শিশুরা এই উপকার পাবে। দিনে একটি করে ডিম খাওয়াকে কম খরচে শিশুর দ্রুত বৃদ্ধি নিশ্চিত করার সবচেয়ে ভালো উপায় হিসেবেও উল্লেখ করেন গবেষকরা।
পেডিয়েট্রিক্স নামের সাময়িকীতে প্রকাশিত নিবন্ধে গবেষকরা বলছেন, দুই বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর লম্বা হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় প্রধানত অপুষ্টি কারণে। শিশু অপুষ্টিতে ভুগলে সে স্বাভাবিকের তুলনায় কম লম্বা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, ৫ বছের নিচের বিশ্বের প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি শিশু অপুষ্টিজনিত কারণে খর্বকায় হয়ে আছে। এই অবস্থায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা শিশুর খর্বাকায় সমস্যা মোকাবিলার পথ খুঁজছেন। গবেষণার জন্য গবেষক দলের প্রধান লোরা লান্নোত্তি ও তার সহকারীরা ইকুয়েডরের গ্রামীণ অঞ্চলের ১৬০ জন শিশুকে বিনামূল্যে ডিম খেতে দিয়েছেন। তারা প্রায় ৬ মাস ধরে এই কাজটি করেছেন।
শুধু তাই নয় এই সময় প্রতি সপ্তাহে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সঠিক নিয়মে শিশুকে ডিম খাওয়ানো হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করেন। এই সময়ে তারা ডিম খেতে দেওয়া শিশু ও ডিম না খাওয়া কিছু শিশুর বৃদ্ধি তুলনামূলক পার্থক্যও পর্যবেক্ষণ করেন। তারা দেখেন, আলোচ্য সময়ে ডিম না খাওয়া শিশুদের তুলনা ডিম খাওয়া শিশুদের বৃদ্ধি ৪৭ শতাংশ বেশি হয়েছে।
এবিষয়ে লোরা লান্নোত্তি বলেন, আমরা গবেষণার ফলাফল দেখে বিস্মিত হয়েছি। কারণ শিশুদের ওপর ডিমের প্রভাবটা ছিল বিস্ময়কর। তিনি বলেন, ভাবতে ভালোই লাগছে, এই ব্যবস্থাটি সকলেই গ্রহণ করতে পারবে। কারণ একটি ডিমের ব্যয় প্রায় সবার জন্যই বহন করা সম্ভব।
উল্লেখ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শিশুর ছয় মাস বয়স পর্যন্ত কেবল মায়ের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়। তবে ছয় মাসের পর থেকে শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোরে পরামর্শ দেয়।
সূত্র : গুগল