শ্বাসকষ্টের কারণ কী!
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
লক্ষণটি শ্বাসস্বল্পতা, দম বন্ধ হওয়া ও ডিস্পনিয়া (Dyspnea) হিসেবেও পরিচিত। ডিস্পনিয়া বলতে শ্বাস নেওয়ার সময় অস্বাভাবিক ও অস্বস্তিকর অনুভূতি হওয়াকে বোঝায়। এই অনুভূতি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এটি ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত রোগীদের শ্বাসজনিত সমস্যার অন্যতম কারণ। ডিস্পনিয়ার সাথে দ্রুত শ্বাস নেওয়া [ট্যাকিপনিয়া (tachypnea)], মাত্রাতিরিক্ত শ্বাস-প্রশ্বাস বা হাইপারভেন্টিলেশনের পার্থক্য রয়েছে।
শ্বাসকষ্টের কারণ অনেকগুলো হতে পারে। এর মধ্যে একটি হয় যে শ্বাসযন্ত্রের বা শ্বাসতন্ত্রের কারণে সমস্যা হয়। যেমন ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা রয়েছে, সিওপিডি রয়েছে, পালমোনারি ডিমাউথ; অ্যাজমা তো রয়েছেই। কার্ডিওভাসকুলারও একটি কারণ। হার্টের কারণে যেটা হচ্ছে, ধরেন কারো যদি হার্ট ফেইলিউর থাকে, সে ক্ষেত্রেও কিন্তু শ্বাসকষ্ট হয়। এ ছাড়া ডায়াবেটিক রোগী যারা, তাদের যখন জটিলতা হয় বা মেটাবলিক এসিডোসিস—তখনো কিন্তু শ্বাসকষ্ট হয়। আমরা যখন রোগীর চিকিৎসা করি অবশ্যই এগুলো মাথায় রাখতে হয়।
শ্বাসতন্ত্রের বা রেসপিরেটরি পদ্ধতির জন্য যে শ্বাসকষ্টটি সেখানে দেখা যায় শুধু শ্বাসকষ্ট থাকে না, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে তার কাশি হচ্ছে। অনেক দিন ধরে কাশি থাকতে পারে। পুরোনো কাশি বেড়ে যাচ্ছে বা হঠাৎ করে কাশি থাকতে পারে। সঙ্গে কফ বের হচ্ছে, কখনো কখনো কফের সঙ্গে রক্তও যেতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় ভোর রাতে ঘুমিয়ে আছে, রোগীর হঠাৎ করে শ্বাসে কষ্ট হচ্ছে, বুকের মধ্যে শাঁ শাঁ করছে। এরপর দেখা যায় যে সিওপিডির রোগীদের হাঁটাচলা করতে গেলে, সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গেলে, কোনো কাজ করতে গেলে বা ব্যায়াম করতে গেলে, তখন শ্বাসকষ্টটা বেড়ে যায়। তখন আমরা বুঝতে পারি তার রেসপিরেটরি পদ্ধতির কারণে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।
আর/এস