নাক ডাকার স্বাস্থ্য ঝুঁকি
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- অক্টোবর ৩, ২০১৮
অনেকেই হয়তো জানেন না ঘুমের মধ্যে নাক ডাকাই হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে উঠতে পারে। ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা একটি প্রকট সমস্যা। আমরা আমাদের আশপাশের অনেক মানুষকেই এই সমস্যায় ভুগতে দেখি। তবে ভাবনার বিষয় হচ্ছে, ঘুমের মধ্যে নাক ডাকাকে অনেকে সমস্যা মনে না করে গভীর ঘুমের লক্ষণ মনে করে থাকে। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে নাক ডাকা প্রশান্তিময় ও তৃপ্তিদায়ক ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানোসহ আরও নানাবিধ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। মধ্যবয়স্ক পুরুষদের ৪০ ভাগ এবং নারীদের ২০ ভাগ জীবনের কোনো না কোনো সময় ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এমনকি বাচ্চাদেরও অনেক সময় ঘুমের মধ্যে নাক ডাকতে দেখা গেছে। লক্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে, যিনি ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন তিনি তা টের পান না। কিন্তু তার পাশে যিনি থাকেন তিনি বিরক্ত বোধ করেন। নাক ডাকার বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি রয়েছে। নাক ডাকা রোগীদের সিম্প্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম উত্তেজিত থাকে। ফলে সিস্টোলিক ব্লাড প্রেশার বেশি থাকে, যা পরবর্তী সময়ে স্থায়ী উচ্চ রক্তচাপে পরিণত হতে পারে।
নাক ডাকা রোগীদের হার্ট অ্যাটাক বেশি হয়, হার্ট ফেইলিউরের ঝুঁকি বেশি হয়, এমনকি ঘুমের মধ্যে হঠাৎ মৃত্যুর কারণও হতে পারে নাক ডাকা। ষ নাক ডাকা রোগীদের হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হতে পারে। ষ হার্টের অলিন্দ বড় হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া অলিন্দ শক্ত হয়ে যেতে পারে (ফাইব্রোসিস)। ষ নাক ডাকা রোগীদের ডায়াবেটিস এবং স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ষ যারা নাক ডাকেন, তারা চিত হয়ে না ঘুমিয়ে কাত হয়ে ঘুমাতে পারেন। চিত হয়ে ঘুমালে গলার পেশি শিথিল থাকে। ফলে নাক বেশি ডাকার আশঙ্কা থাকে।
ওজন কমালেও অনেক সময় নাক ডাকা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ষ অ্যালকোহল ও নেশাজাতীয় দ্রব্য পরিহার করতে হবে। ষ মাথার নিচে কয়েকটি বালিশ দিয়েও নাক ডাকা কমানো যেতে পারে। মাথার নিচে বালিশ দিলে বুকের চেয়ে মাথা বেশি উঁচুতে থাকে। এতে নাক ডাকার আশঙ্কা কিছুটা কমে যায়। ষ ধূমপান করলে শরীরের অক্সিজেন ব্যবহারের ক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে বাতাস বের হওয়ার পথ সংকুচিত হয়ে পড়ে। এ কারণেও নাক বেশি ডাকতে পারেন অনেকে। তাই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করাই ভালো। ষ নাক ডাকায় আক্রান্ত হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এর কারণ জেনে তা প্রতিকার করুন। ষ নাক ডাকা সমস্যাকে ছোট করে দেখা যাবে না। যথাযথ কারণ নির্ধারণ করে এর চিকিৎসা নিলে প্রশান্তিময় ঘুমের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা যায়।
আর/এস