ডিপথেরিয়ার লক্ষণগুলো কী কী?

  • অক্টোবর ৮, ২০১৮

ডিপথেরিয়াতে সাধারণত আমাদের দেশের বাচ্চারাই বেশি আক্রান্ত হয় তবে বড়রাও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কমে যায় সাধারণত তাদের ক্ষেত্রে ক্ষত স্থান, চোখের কনজাংটিভা, জননাঙ্গ ইত্যাদি স্থানও আক্রান্ত হতে পারে৷ অনেক উন্নত দেশে এ রোগ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে টিকা দান কর্মসূচির মাধ্যমে৷ কিন্তু আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশ গুলোতে এ রোগের প্রকোপ এখনও অনেক বেশি৷ 

রোগটি বহন করছে এরকম রেগী দ্বারা সংক্রমণ ঘটতে পারে যেমন-রোগীর সংস্পর্শে আসা, বিছানা, জামাকাপড় ইত্যাদি। রোগীর থুতুর মাধ্যমে সংক্রমণ ঘটতে পারে৷ সংক্রামিত দুধ এবং দুধ জাতীয় খাবার দ্বারাও রোগ সংক্রমণ ঘটতে পারে৷

লক্ষণসমূহ-

- জ্বর আসে।
- ঠাণ্ডা লাগার মতো সাধারণ সর্দি কাশি হয়।
- গলা ব্যথা হয়।
- গা ম্যাজম্যাজ করে।
- রোগী ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করে না।
- শিরার গতি দ্রুত এবং অনিয়মিত হয়।
- দুর্বল লাগে।
- রোগী খেলাধূলা করে না।
- গলা ব্যথা হওয়ার ২-১ দিনের মধ্যে গলার ভিতরের দিকে একটা হলদেটে বা ধূসর রঙের একটা পর্দা তৈরি হয়৷
- মুখের ভেতর তালুতে হলে তালু অবশ হয়ে যায়৷ রোগী কোন খাবার এমন কি তরল খাবারও খেতে পারে না৷
- অনেক সময় তরল খাবার নাক দিয়ে বেড়িয়ে আসে৷
- নাকের ভিতর হলে নাকের মধ্যে একটি পর্দা পড়ে৷ নাক থেকে সর্দি ঝরতে থাকে, সাথে মাঝেমাঝে রক্ত মেশানো পানি বের হয়ে আসে৷
- স্বরযন্ত্রে রোগ হলে কথা বলতে কষ্ট হয় এবং ফ্যাসফ্যাসে শব্দ হয়।
শ্বাসনালীতে রোগ হলে শ্বাসকষ্ট হয় এমনকি রোগীর দম বন্ধ হয়ে রোগী মারা যেতে পারে।
- রোগ শুরু হবার ১০-১২ দিনের মধ্যে এসব মারাত্মক উপসর্গ দেখা যায়৷

আর/এস 

 

Leave a Comment