শীত পূর্বকালীন স্বাস্থ্য সমস্যায় করণীয়

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • অক্টোবর ১১, ২০১৮

প্রকৃতির ধারাবাহিক পরিবর্তনের নিয়ম অনুযায়ী বর্তমানে আমরা শীতের খুবই কাছাকাছি। এখন মাঝ রাতের পর থেকে হালকা ঠাণ্ডা পড়া শুরু করেছে। কাঁথা পড়লে গরম লাগছে আবার ফ্যান ছাড়া থাকলে লাগছে শীত। এই ঠাণ্ডা গরমের চলমান খেলার শিকার হচ্ছি আমরা, বিশেষ করে আমাদের ছোট শিশুরা। তাছাড়া বিশেষ করে প্রকৃতির শুষ্ক আবহাওয়ায় ধুলাবালিতে থাকা রোগ সংক্রমণকারী জীবাণুর সংস্পর্শে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছি ঠাণ্ডা জনিত রোগে। বাচ্চাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের চেয়ে কম থাকায় তারাই বেশী আক্রান্ত হচ্ছে নানারকম ঠাণ্ডাজনিত রোগে। কতিপয় নিয়ম শৃঙ্খলা মানা ও খাবারের মাধ্যমে আমরা অনেকটাই বেঁচে থাকতে পারি এই সমস্যা থেকে। আসুন জেনে নিই কীভাবে আমরা এটা করতে পারি।

প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় পরিধানঃ এই সময় সঠিক পোশাক নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এমন কাপড় পরিধান করতে হবে, যাতে ঠাণ্ডা না লাগে। কখনও ঘুমানোর আগে খালি গায়ে না শোয়া উচিত। বাচ্চাদের দিকে খেয়াল করা উচিত যাতে তারা খালি গায়ে না ঘুমায়।

অধিক ভীর ও জনসমাগম পরিহারঃ অধিক ভীর ও জনসমাগমে অধিক ধুলাবালির বিস্তার ঘটে। আর এই ধুলাবালির সাথে যেমন সর্দি, ফ্লু সৃষ্টিকারি সংক্রামক ভাইরাস সহজেই আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে, ফলে ঠাণ্ডা জাতীয় রোগ হতে পারে। তাই এসব স্থান যথাসম্ভব পরিহার করা উচিত। রাস্তায় বেড় হলে মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। 

বাচ্চাদের ধুলাবালির সংক্রমন থেকে রক্ষা করাঃ শীতের এই পূর্ব মুহূর্তে শুষ্ক আবহাওয়ায় রাস্তা ঘাটে ও মাঠে প্রচুর ধুলাবালির সৃষ্টি হয়। আর এই ধুলাবালির সাথে থাকে প্রচুর সংক্রামক জীবাণু। তাই অধিকক্ষণ ধুলাবালিতে খেলাধুলা থেকে বাচ্চাদের বিরত রাখতে হবে। আর তাদের খেলাধুলার পর অবশ্যই পানি দিয়ে শরীর, বিশেষ করে হাত,পা মুখমণ্ডল ভাল করে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে দিতে হবে। 

পুষ্টিকর ও ভিটামিনযুক্ত খাবারের ব্যবস্থা করাঃ শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে এই সময় আমাদের ত্বকে, বিশেষ করে নানারকম ভিটামিনের অভাবে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। আর এই সমস্যার সমাধানে সবচেয়ে দরকার হলো প্রচুর মৌসুমি ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া। এই সময় বাজারে আমড়া, আমলকী কামরাঙ্গা, জলপাই, প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায় । এই ফলমুলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি থাকে, যা আমাদের ত্বক সহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গে রোগজীবাণু সংক্রমণে বাধা দেয় এবং দেহকে রোগ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। 

যেহেতু এই সময়টা শীত ও গরমের মাঝামাঝি, তাই খাবার-দাবারসহ চলাফেরায় অনেক সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। সামান্য সাবধানতা ও সচেতনতা আপনাকে দিতে পারে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন।

আর/এস 

Leave a Comment