রুবেলা প্রতিরোধের উপায় কী?
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- অক্টোবর ১৮, ২০১৮
রুবেলা প্রতিরোধের জন্য শিশুর বয়স ৯ মাস হলে এক ডোজ এমআর টিকা ও ১৫ মাস পূর্ণ হলে হামের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে হয়। কিশোরীদের বয়স ১৫ বছর পূর্ণ হলে এক ডোজ এমআর টিকা, এক ডোজ টিটি টিকার সঙ্গে দিতে হবে। পরবর্তী পাঁচ ডোজ টিটি টিকার সময় অনুযায়ী শেষ করতে হবে। রুবেলা রোগ বা জার্মান হাম সবার জন্য জানা দরকার। এ ক্ষেত্রে মায়েদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবনে এ রোগের প্রয়োজনীয় টিকা সময়মতো দিতে হবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে ও ক্যানসার, যক্ষ্মা আক্রান্ত শিশু-কিশোরীকে এ এমআর টিকা দেয়া যাবে না। গর্ভাবস্থায়ও এ টিকা দেয়া যাবে না। তাই গর্ভাবস্থায় রুবেলা রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রত্যেক ১৫ বছর বয়সী কিশোরীকে প্রাপ্যতা অনুসারে ৫ ডোজ টিটি টিকার যে কোনোটির সাথে ১ ডোজ এম আর টিকা গ্রহণ করতে হবে।
গর্ভবতী মায়ের এ রোগ হলে তাঁর জন্যও কোনো চিকিৎসা নেই। গর্ভস্থ শিশুকে রক্ষা করারও কোনো উপায় নেই। সে ক্ষেত্রে শিশু শারীরিক ও মানসিকভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে জন্মায় বা মৃত্যুবরণ করে। এ জন্য রুবেলা সংক্রমণের সবচেয়ে বড় চিকিৎসা হলো একে প্রতিরোধ করা। টিকার মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে শিশু অবস্থায় আপনার রুবেলা হয়েছিল বা দুটি এমএমআর টিকাগ্রহণ করেছিলেন। যদি আপনি নিশ্চিত না থাকেন তাহলে বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে জেনে নিন। আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা পরীক্ষা করতে আপনাকে একটি রক্তপরীক্ষা করতে হতে পারে।
টিকা দেয়া না থাকলে গর্ভধারণের আগেই তিন মাস বাদ দিয়ে দুটি এমএমআর টিকা গ্রহণ করতে হবে যার দ্বিতীয়টি গর্ভ ধারণের অন্তত এক মাস আগে হলে,তা এই রোগটি থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে । শিশুকালে একবার রুবেলা হলে পরবর্তীতে তা আবার হওয়া খুবই বিরল। তবুও এটি গুরুত্বপূর্ণ যে গর্ভধারণের পরিকল্পনার আগের আরেকবার রুবেলার পরীক্ষা করে নেয়া।
গর্ভাবস্থায় রুবেলার পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ হলে বাচ্চার অসুবিধা হতে পারে। এ অবস্থায় তার সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করা উচিত এবং কর্মস্থলে যথাসম্ভব কম যাওয়া ভালো। সন্তান জন্মদানের পর সে টিকা নিয়ে নেবে। বাচ্চা দুধ পাওয়ার সময় রুবেলা টিকা নেওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাতে মা ও বাচ্চার কোনও ক্ষতি হয় না। যদি আপনি হাসপাতালে প্রসব করে থাকেন, আপনি বাসায় ফেরার আগে প্রথমটি দিতে হবে । আপনার চিকিৎসক আপনাকে দ্বিতীয়টি দেবেন।
সূত্র : গুগল