গর্ভাবস্থায় পেটে পানি কমে যাওয়ার কারণ কি?
- তাশফিয়া আমিন
- অক্টোবর ২১, ২০১৮
গর্ভাবস্তায় পেটে পানি (এমনিওটিক ফ্লুয়িড) কমে যাওয়ার কারণ নির্দিষ্ট করে সবসময় বলা যায়না। এটা খুব বেশী হয় তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের শেষের দিকে বিশেষ করে যখন প্রসবের সময় পেড়িয়ে যায়।
এমনিওটিক থলিতে কোন কারণে ছিদ্র হলে : যদি এমনিওটিক থলিতে সামান্য ছিদ্র হয় বা ফেটে যায় তবে এমনিওটিক ফ্লুইড বের হয়ে যেতে পারে। গর্ভধারণের যে কোন সময় এটা হতে পারে তবে শেষের দিকে বেশী হয়। কখনও যদি আপনি যোনিপথে তরল নির্গত হতে দেখেন বা আপনার অন্তর্বাস ভেজা মনে হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার চিকিৎসক কে অবহিত করুন। এমনিওটিক থলি ছিরে গেলে ইনফেকশন এর সম্ভাবনা বেড়ে যায় কারণ ছিদ্রপথে এমনিওটিক থলিতে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ এর সুযোগ পায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ ধরনের ছিদ্র আপনাআপনি ঠিক হয়ে যায়। এবং ফ্লুইড এর পরিমান আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।
গর্ভফুলে কোন সমস্যা হলে : প্লাসেন্টাতে কোন সমস্যা হলে, যেমন প্লাসেন্টা যদি কোন কারণে জরায়ুর দেয়াল থেকে সামান্য ছিরে যায় তবে তা শিশুর শরীরে পর্যাপ্ত রক্ত ও পুষ্টি সরবরাহ করতে পারেনা। ফলে শিশুর প্রস্রাবের পরিমান ও কমে যায় এবং এমনিওটিক ফ্লুইড ও কম উৎপন্ন হয়।
মায়ের কোন অসুখ থাকলে : আপনার যদি এ ধরনের পূর্ববর্তী কোন ইতিহাস থাকে বা উচ্চ রক্তচাপ, প্রি এক্লাম্পশিয়া, ডায়াবেটিস ইত্যাদি থাকলে এ সমস্যা হতে পারে।
গর্ভে একের অধিক বাচ্চা থাকলে : গর্ভে একের অধিক বাচ্চা থাকলে এমনিওটিক ফ্লুইড কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এসব ক্ষেত্রে দেখা যায় একটি বাচ্চার ফ্লুইড অনেক কম এবং আরেকটির অনেক বেশী।
ভ্রুনের কোন অস্বাভাবিকতা থাকলে : যদি প্রথম বা দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে এমনিওটিক ফ্লুইড কম থাকে তবে গর্ভের শিশুর জন্মগত ত্রুটি থাকতে পারে। কোন ত্রুটির কারণে শিশু যদি পর্যাপ্ত পরিমানে প্রস্রাব নির্গত করতে না পারে তবে এমনিওটিক ফ্লুইডের পরিমান কমে যায়।
কি করবেনঃ এ ধরনের সমস্যা হলেই আলট্রাসাউন্ড ও অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নিয়মিত বাচ্চাকে মনিটর করতে হয়। মাকে বেশী করে তরল গ্রহন করতে হবে এবং বাচ্চার নড়াচড়া খেয়াল রাখতে হবে। কোন কারণে যদি মনে হয় বাচ্চা নড়ছে না বা আগের তুলনায় কম নড়াচড়া করছে তবে অতিসত্বর চিকিৎসক কে অবহিত করুন।