কিভাবে বুঝবেন বাচ্চার পেটে গ্যাস হয়েছে ?
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- ডিসেম্বর ৩, ২০১৭
বাচ্চার পেটে গ্যাস হচ্ছে কিনা সেটা বোঝাটা কষ্টকর কারণ বাচ্চা নিজ থেকে তার অসুবিধাগুলো বলতে পারেনা। তবে কিছু কিছু লক্ষন তার মধ্যে দেখা যেতে পারে-
(১) চেহারা লাল হয়ে যাওয়া
(২) কান্নাকাটি করা
(৩) খাওয়ার পর মোচড়ানো
(৪) হাত মুষ্টিবদ্ধ করে রাখা
(৫) পা ভাজ করে পেটের কাছে নিয়ে আসা ইত্যাদি।
(৬) তাছারা বাচ্চা যদি ঢেঁকুর তুলে বা বায়ু ত্যাগ করে তাহলে নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারবেন যে তার গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে।
তবে মাঝে মাঝে গ্যাসের সমস্যার এ লক্ষনগুলো অন্য কোন সমস্যারও ইঙ্গিত করতে পারে। বাচ্চা যদি ঢেঁকুর তোলার পর বা বায়ু ত্যাগ করার পরও কান্নাকাটি করতে থাকে তবে ধরে নিতে পারেন তার অন্য কোন সমস্যা হচ্ছে, যেমন- রিফ্লাক্স, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কলিক।
বাচ্চার রিফ্লাক্স থাকলে তার পাকস্থলীর খাবার অন্ননালী দিয়ে উঠে এসে মুখ দিয়ে বের হয়ে যায় বা বমি হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে বাচ্চার কষ্ট হয় এবং তার পিঠ বাকা করে ফেলে কিন্তু গ্যাসের সমসসার মত পা ভাজ করে পেটের কাছে আনেনা। গ্যাস এবং রিফ্লাক্সের মধ্যে পার্থক্য বোঝাটা জরুরী কারণ বাচ্চার রিফ্লাক্স থাকলে যদি ঢেঁকুর তোলা হয় তবে তা আরও খারাপ হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণেও বাচ্চার পেটে গ্যাস হওয়ার মত উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে এ সময় বাচ্চা মোচড়াতে থাকে। তবে কোষ্ঠকাঠিন্য বোঝাটা সহজ কারণ তা হলে বাচ্চার পায়খানা করতে কষ্ট হয় এবং পায়খানা শক্ত হয়ে যায়।
বাচ্চার অতিরিক্ত কান্নার কারণেও মাঝে মাঝে মনে হতে পারে বাচ্চার পেটে গ্যাস হয়েছে। কিন্তু এটা কলিকের কারনেও হতে পারে। শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে আপনার বাচ্চা যদি সাধারানত দিনে তিন ঘণ্টা বা তার বেশী, সপ্তাহে তিন বা চার দিনের বেশী এবং একটানা তিন চার সপ্তাহের বেশী কান্না করতে থাকে এবং তার যদি কোন ব্যাখ্যা না থাকে, ধরে নিতে পারেন বাচ্চা হয়ত কলিক।
তথ্য এবং ছবি : গুগল