শিশুর হতে পারে ক্যান্সার!
- তাশফিয়া আমিন
- অক্টোবর ২৫, ২০১৮
যদিও শিশুদের মধ্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা কম, কিন্তু তাই বলে যে কখনো হবে না তা নয়। কম বয়সী শিশু কিশোরদের মধ্যে ক্যান্সার সনাক্ত করা প্রায় সময়ই কঠিন হয়ে পরে, কারন বাবা-মা স্বীকারই করতে চায়না যে এমন একটি ব্যপার তাদের বাচ্চার সাথে হতে পারে, যার ফলে অনেক দেরিতে তারা সঠিক ডাক্তারের কাছে যায়। শিশু এবং নবজাতকেরা নির্দিষ্ট করে বলতে পারে না, তাদের কি সমস্যা হচ্ছে, কোনো ব্যথা কিংবা অস্বস্তি যা তারা অনুভব করছে তা প্রকাশ করতে পারেনা । যারা নতুন বাবা-মা হয়েছেন, তাদের পক্ষে বাচ্চাদের কোন লক্ষণ দেখে সতর্ক হতে হবে তা বুঝা খুবই কঠিন । যদিও বাচ্চাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার সম্ভবনা কম, তারপরও সকল বাবা-মারই উচিত শিশুদের ক্যান্সারের প্রধান ১০ টি লক্ষন বাচ্চাদের মাঝে আছে কিনা তার দিকে খেয়াল রাখা –
১. অজানা কারনে নিয়মিতভাবে ওজন কমে যাওয়া।
২. প্রায়ই মাথা ব্যথা এবং সঙ্গে ভোর বেলায় বমি।
৩.হাড়ে, হাড়ের জোড়ায়, পিঠে, অথবা পায়ে ক্রমাগত ব্যথা বা ঐ সকল স্থানে ফুলে যাওয়া।
৩. শরীরের কোন অংশে বিশেষ করে পেট, ঘাড়, বুক, শ্রোনীচক্রের আশেপাশে অথবা বগলে পিন্ড অথবা দলা তৈরি হওয়া।
৪. গায়ে অতিরিক্ত কালশিরা অথবা ফুসকুরি তৈরী হওয়া, সহজেই রক্তপাত হওয়া।
৫. সংক্রমন (ইনফেকশন) লেগেই থাকা।
৬ .চোখের মনির (পিউপিল) পেছনে একটি সাদা রঙ দেখা যাওয়া।
৭. বমি বমি ভাব থাকা যেখানে বমি হতেও পারে নাও হতে পারে।
৮. সারাক্ষন দূর্বলতা অথবা প্রায়শই চেহারা ম্লান হয়ে থাকা।
৯. চোখ অথবা দৃষ্টিশক্তির হঠাৎ কোন পরিবর্তন যা স্থায়ী হয় গেছে।
১০. অজানা কারনে ক্রমাগত জ্বর হওয়া।
যদি আপনার বাচ্চার এর যেকোনো লক্ষন থেকে থাকে, তবে যত দ্রুত সম্ভব একজন শিশু বিশেষজ্ঞকে দেখান। আপনার ডাক্তারকে কিছু সাধারন পরীক্ষার জন্য অনুরোধ করুন। এই ধরনের শৈশবের ক্যান্সারের জীনগত যোগসুত্র থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। অতএব, পিতা-মাতা উভয়ের বংশেরই কারো লিউকোমিয়ার (ব্লাড ক্যান্সার) ইতিহাস আছে কিনা তা যাচাই করে দেখুন। যদি থাকে আপনার বাচ্চার নিয়মিত পরীক্ষা নিশ্চিত করুন।